রোনালদোর পর্তুগালকে কাঁদিয়ে সেমিতে এমবাপ্পের ফ্রান্স
আয়োজক জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ খেলছিল স্পেন। প্রথমার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ শানিয়েও গোল পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে জার্মানি ফেরায় সমতা। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
এবার অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে মাইকেল মেরিনোর গোলে স্পেন ২-১ ব্যবধানে জার্মানিকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় শেষ চারে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তারা উঠলো ইউরোর সেমিফাইনালে। সবশেষ ২০২০ আসরেও খেলেছিল সেমিতে। চ্যাম্পিয়ন ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল শেষ চার থেকেই। এবার সেমিফাইনালে পর্তুগাল অথবা ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ইমায়াল-ওলমোরা।
প্রথমার্ধে দারুণ দারুণ আক্রমণ শানিয়েও গোলের দেখা না পাওয়া স্পেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেয়ে যায় কাঙ্খিত গোলের দেখা। এ সময় নিজেদের অর্ধ থেকে দুই সতীর্থের পাস শেষে জার্মানির ডি বক্সের ডানদিকে বল পেয়ে যান লামিনে ইয়ামাল। তিনি আস্তে আস্তে বক্সে ঢুকে ডিফেন্স চেঁড়া পাসে বল দেন ওলমোকে। ফাঁকায় থাকা ওলমো ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান।
তার এই গোলে স্পেন এগিয়ে থাকে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। সবাই ধরেই নিয়েছিল স্বাগতিকদের দর্শক বানিয়ে স্পেন বুঝি চলে যাচ্ছে সেমিফাইনালে। কিন্তু সেই সময় ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দেন ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। এ সময় জশুয়া খিমিচের হেডে বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে জড়ান তিনি। তাতে ম্যাচে ফেরে সমতা এবং ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
অতিরিক্ত সময়েও চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। সুযোগ তৈরি আর মিসের মহড়া। তাতে ম্যাচের ১১৮ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা বিরাজ করে। ম্যাচ যখন টাইব্রেকারে গড়ানোর দ্বারপ্রান্তে তখন স্বাগতিকদের হৃদয় ভাঙেন মেরিনো। এ সময় ওলমো ক্রসে ডি বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন। সেটাতে বেশ খানিকটা লাফিয়ে উঠে হেড নেন মেরিনো। বল ম্যানুয়েল নয়্যারের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে জড়ায়। নয়্যার কেবল চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন। হৃদয় ভাঙা গোলটি চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন মাঠে উপস্থিত ৫৪ হাজার দর্শকও। যাদের অধিকাংশই ছিলেন জার্মানির।
আয়োজক জার্মানি গ্রুপপর্বে সবচেয়ে দারুণ খেলেছিল। কিন্তু শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখা জার্মানদের দৌড় থেমে গেল শেষ আটেই। তাতে বিশ্বকাপের পর ইউরোতেও তাদের ব্যর্থতার মিছিল লম্বা হলো।