স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দর থানার চিতাশাল এলাকার জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা কমিটির উদ্যোগে পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপলক্ষে আজিমুশশ্বান জশনে জুলুস হয়েছে।বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার হাজী সালেহ ইয়ামেনীর(রহঃ) মাজার থেকে সোমবার সকালে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শায়খ মাওলানা আব্দুল মোস্তফা রাহিম আলআযহারীর নেতৃত্বে হাজার হাজার সূন্নী মুসলমান জুলুসে বের হয়।জুলুসে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মোঃ আবু সাঈদ কাদেরী, আবুল হোসাইন,হারুন শেখ, নাসিম আহমেদ সোহান, নারায়ণগঞ্জ কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোবারক হোসেন,গাউসিয়া কমিটির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জয়নাল আবেদীন, দাওয়াতে খায়র সম্পাদক মাওলানা আব্বাস উদ্দীন,সদস্য মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ, শাহাবুদ্দিন পাঠান, মোঃ আসলাম, এস এম রাজু, জামেয়া গাউসিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আলআযহারী,মাওলানা হাফেজ গোলাম পান্জাতন আলআযহারী, মাওলানা মঈনুল ইসলাম,মাওলানা জাকারিয়া হোসাইন,মাওলানা আল মিরাজ প্রমুখ অংশ নেন।জুলুসে ধর্মীয় স্লোগান,নাত এ রাসুল পাঠ করা হয়। বন্দরের সোনাকান্দা, হাজীপুর,কলাবাগ রেললাইন, রাজবাড়ী,খানবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন শেষে জুলুসকারীরা জামেয়া গাউসিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে মাহফিলে মিলিত হয়। মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন নাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবুল কাউসার আশা। কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা বলেন, কোন কোন মাজারের পাশে অনৈতিক কাজ হয়।তাদেরকে সংশোধনের আহবান জানাতে বা প্রতিরোধ করতে হবে।ওদের কারনে ওলীগনের মাজার ভাঙ্গা হচ্ছে।এখানে অন্য কোন মতলব আছে।নবী-রাসুল-ওলীগন আল্লাহ পাকের বন্ধু।আল্লাহ বলেছেন,যে ওলীদের সাথে শত্রুতা করলো– বস্তুত সে আমার( আল্লাহ) সাথে শত্রুতা করলো।সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহঃ)’ র মাজারে বোমা হামলা এবং ওই মাজারসহ মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা(রহঃ) মাজারের পুকুরের শত শত বছর বয়সের গজার মাছ বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিলো।আমরা দেখেছিঃ বোমা হামলা ও মাছ হত্যাকারীদের পরিনতি কঠিন, করুন হয়েছিলো।এখন আবার ওলীগনের মাজার ভাঙ্গা হচ্ছে, কোথাও কোথাও মসজিদ জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।যারা মাজার ভাংছেন– মনে রাখেন আপনাদের পরিনতিও করুন হবে,আপনাদেরও ধ্বংস হবে।আখেরী মুনাজাত পরিচালনার আগে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মোস্তফা রাহিম আলআযহারী বলেন,সূন্নী মুসলমান কখনোই ভন্ডামী বা মাজারে সিজদা সমর্থন করে না। সূন্নী মুসলমান ওলীগনের মাজার জিয়ারত করে। একই ভাবে যারা মাজার ভাংছে–তাদেরকেও কঠিন জবাব দেয়া হবে।ইসলাম ধর্মে অন্য মতবালম্বিকে নির্যাতন করা সমর্থন করে না।কারো যদি ওলীর মাজার অপছন্দ হয়, তাহলে মাজার ভেংগে ফেলতে হবে কেন? তোমরা সুদের ব্যবসার কারনে ব্যাংক, পাপাচারের কারনে আবাসিক হোটেল,নেশা করার কারনে ক্লাব, বার ভাংতে যাও না কেন ? সাবধান আর মাজার ভাংতে চেষ্টা করো না।তাহলে দাঁত ভাংগা জবাব দেয়া হবে।