বিশেষ সংবাদদাতা: আসন্ন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনজন প্রার্থীর কথা শুনা গেলেও আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছেন তরুন সমাজ সেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সায়েম আহমেদ। ইতিমধ্যে স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। অপরদিকে নানা কারনে বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের স্থানীয় জনসাধারনের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়া সত্বেও মহামারি করোনাভাইরাস সহ কোন দূর্যোগেই মতিউর রহমানকে পাশে পাননা ইউনিয়নবাসী। শুধু তাই নয়, ঈদ উৎসবেও ইউনিয়নবাসীর খোঁজ নেন না তিনি। যারফলে ইউনিয়নবাসীর মনে বিরাজ করছে চাপাপড়া ক্ষোভ। তারা মনে মনে বিকল্প প্রার্থী খুঁজছেন।
আরেক দিকে বিএনপি সমর্থিত সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বলেই চলে। চেয়ারম্যান পদ হারানোর পর থেকে এই পর্যন্ত এলাকাবাসীর খোঁজ খবর নেয়া তো দূরের কথা, তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগই রাখেন নি তিনি।
এ বিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদবাসীর মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন, এবার যেই প্রার্থী হন না কেন তার আমলনামা আগে দেখা হবে। তার চুলচেরা বিশ্লেষন করে চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেয়া হবে। কেননা, যারা করোনাভাইরাসের এ সময়ে আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর কোন খোঁজ খবর নেননি, পাশকাটিয়ে গেছেন, তাদেরকে আর কোন সুযোগই দেয়া হবেনা।
তারা বলেন, একটা কথা না বললেই নয়, যদিও এলাকার ছেলে সায়েম কোন চেয়ারম্যান না, মেম্বারও না। তবুও করোনাকালে আমরা তাকে পাশে পেয়েছি ছায়ার মত। তিনি সব সময় আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাছাড়া এলাকার যে কোন সময়ে তাকে খবর দেয়ার সাথে ছুটে আসেন। এলাকাবাসীর প্রতি এ মমত্ববোধ আমাদেরকে পুলকিত করেছে। তাই আসন্ন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে সায়েমের বিকল্প আমরা দেখছিনা। আমাদের চোঁখে চেয়ারম্যান হিসেবে সায়েমই যোগ্য প্রার্থী।
অপরদিকে স্থানীয় প্রবিণ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান নিজেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দাবি করলেও আওয়ামী লীগের কোন কর্মকান্ডে তার দেখা মিলেনা। ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তার কোন কর্মসূচি ছিলোনা। যারফলে আমরা সহ হতাশ হয়েছেন অনেক আওয়ামীল সহ এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী। অথচ এ আওয়ামী লীগকে ভীত করে তিনি নির্বাচন করতে চাচ্ছেন এবং সেই নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তাই আমাদের দাবি থাকবে, আর যাই তার হাতে যেন কোন অবস্থাতেই নৌকা তুলে দেয়া না হয়। কেননা, নৌকার সম্মান তিনি রাখেন নি। তার হাতে নৌকা তুলে দিলে আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, অপরদিকে সায়েম আওয়ামী লীগের এমন কোন কর্মসূচি নাই যে সেটা তিনি করেননি। তিনি মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন। আর তাইতো তিনি একজন সাধারন কর্মী হয়েও আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তাই আমরা নৌকার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সায়েমকেই চাই। আমরা তাকে সর্মথন করি।