নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর মিলনস্থান ‘চাষাঢ়া চত্বর’। এ চত্বর জুড়ে চারদিকেই বিশাল সড়কের অধিকাংশ অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় সঠিক ব্যবহার হয় না। আর তাই, দিনে রাতে প্রায় সব সময় অসহনীয় যানজট পোহাতে হয়। এ চত্বরের জিয়া হলের সামনের সড়কে পঞ্চবটি-চাষাঢ়া, লিংক রোড-চাষাঢ়া থেকে নানা পরিবহন আসে। যাত্রীবাহি পরবিহন গুলো এলোমেলো ভাবে থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করার ফলে, জট পাকিয়ে যায় সড়কে, হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। চরম অব্যবস্থপনায়, নিয়মতান্ত্রিকতার নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসে নারায়ণগঞ্জ পুলিশর ট্রাফিক বিভাগ। নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানোর অস্থায়ী ভাবে স্থাপন করা হয় ‘বাস-বে’। কিন্তু প্রথমে কিছুদিন নিয়ম মেনে চললেও এখন মূল সড়কেই অধিকাংশ গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো হচ্ছে।
রুবেল নামের এক যাত্রী বলেন, বাস বে’র সঠিক ব্যবহার না করাই এখন অপকারের চেয়ে মাঝে মাঝে অপকার বেশি হয়। সৃষ্টি হয় যানজট।
পথচারী রুহুল আমিন বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে বাস-বে নির্মাণ করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করলে অবশ্যই জনগণ উপকৃত হবে।
শিল্প অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জের অন্যতম বড় সমস্যাই হলো যানজট। কিন্তু বিপরীতে লোকবল সংকট সহ নানা সমস্যায় ঝড়ঝড়িত এই ট্রাফিক বিভাগ। তাই নিয়মের যথাযথ ব্যবহারের বিকল্প নেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে।
যানজট নিরসণের লক্ষ্যে গত ২০ জুলাই থেকে চাষাঢ়ায় জিয়া হলের সামনে বাস থামিয়ে যাত্রী নামানোর জন্য বাস-বে স্থাপন করা হয়। যার ফলে বাকি অংশ দিয়ে না থামিয়েই চলাচল করতে পেরেছে যাত্রীরা।
সরেজমিনে ৭ সেপ্টেম্বর গিয়ে দেখা যায়, বাস-বে’র ভিতরে থামিয়ে যাত্রী নামানো হলেও অধিকাংশ গাড়ি সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী নামাচ্ছে। এতে অনেক সময় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে, চাষাঢ়ায় দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের (টিআই) ইমরান জানান, সড়কটি ছোট হওয়ায় বাস-বে স্থাপন হয়েছে ছোট করেই। ৩টি গাড়ি এক সাথে দাঁড়ালে অন্য গাড়ি দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে না। তাই অনেক সময় দু’একটি গাড়ি সড়কের মধ্যেই থামিয়ে যাত্রী নামায়। তাই আমরাও কিছু বলি না।