চাঁদে পানির অনুসন্ধানে চলতি নভেম্বরেই একটি নতুন স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। মঙ্গলবার নাসার চন্দ্রাভিজান বিষয়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জন বেকার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন এই স্যাটেলাইটির নাম ফ্যালকন নাইন। আকারে একটি সাধারণ ব্রিফকেসের সমান এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেস এক্স। নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে চাঁদের উদ্দেশে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানিয়েছেন জন বেকার।
চাঁদে তরল পানির কোনো মজুত নেই, তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস— পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহটিতে বিপুল পরিমাণ জমাট বরফের মজুত রয়েছে; এবং এসব বরফের স্তুপকে পানিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
যদি চাঁদের বরফের স্তুপকে পানিতে রূপান্তর করা যায়, সেক্ষেত্রে সেই পানিতে থাকা অক্সিজেন থেকে অক্সিজেনের বাতাসও তৈরি করা সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদে বসতি স্থাপনের যে স্বপ্ন মানুষ দেখে আসছে— তা ক্রমশ বাস্তবে রূপ নেবে।
তবে বরফের মজুত চাঁদের কোন কোন স্থানে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। শক্তিশালী ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে সেই কাজটিই করবে ফ্যালকন নাইন।
নাসার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত দিনে একটি রকেট থেকে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে, তারপর এটিকে পরিচালিত করা হবে চাঁদের অক্ষপথের দিকে। অক্ষপথে পৌঁছানোর পর চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থান করে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা শুরু করবে ফ্যালকন নাইন। একই সঙ্গে ফ্ল্যাশ লাইটের মাধ্যমে বরফের অনুসন্ধানও চালাবে স্যাটেলাইটটি।
নাসার ছোট আকারের নভোযান প্রযুক্তি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রজার হান্টার বলেন, ‘নাসার চন্দ্রাভিজান প্রকল্পের জন্য এটি খুবই উত্তেজনাকর ও জরুরি একটি পদক্ষেপ। বহুদিন ধরেই আমরা চাঁদে পানির খোঁজ করছি। আশা করি এবার আমরা একটি আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পাব।’