নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার নারায়ণগঞ্জ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মাহাবুবুর রহমান মোল্লা’র (৬৫) উপর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নাদিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা’র উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে দেন বলে জানা যায়।
ঘটনাসূত্রে জানা যায় যে, মাহবুবুর রহমান মোল্লা
জালকুড়ি পশ্চিশপাড়া নিজ বাড়িতে ৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়া বিল্ডিং এর নির্মান কাজ করা কালীন সময়ে এলাকার জয়নাল আবেদীন এর পুত্র চিহ্নিত চাঁদাবাজ মাদক বিক্রেতা সন্ত্রাসি নাদিম (৩৫) তার সাথে থাকা সঙ্গীয় হাসান (৩৫), জয়নাল আবেদীন (৬০),
সেলিনা আক্তার বেবি (৪৮), মাসুদ (৩৫), নুর ইসলাম (৬০), সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জন সন্ত্রাসীরা বিল্ডিং এর নির্মান কাজে বাঁধা দেন এবং ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করেন। মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় ১৯ মার্চ বুধবার সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় বিল্ডিং ফ্লোর ঢালাই এর জন্য নির্মান শ্রমিকগন আসিয়া কাজ শুরু করিলে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে কাজে বাধা নিষেধ করায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা তাদের সাথে কাজ বন্ধ করার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাদিম উত্তেজিত হয়ে উঠে তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি ও সঙ্গীয়দের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র সন্ত্র চা পাতি, রাম দা, লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা’র উপর আক্রমন করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে। আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনার বিষয়ে এডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন, আমার বড় ভাই মাহাবুবুর রহমান মোল্লা , জালকুড়ি পশ্চিশপাড়া নিজ বাড়িতে ৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়া বিল্ডিং এর নির্মান
কাজ করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় এলাকার দুদর্য সন্ত্রাসি ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না দেয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয় এ বিষয়ে ভাই আমাকে ফোন করিলে আমি সহ এডভোকেট একে এম ওমর ফারুক নয়ন (এডিশনাল পিপি জজ কোর্ট নারায়ণগঞ্জ), এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম মাসুম (এডিশনাল পিপি জজ কোর্ট নারায়ণগঞ্জ), এডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার (জজ কোর্ট নারায়ণগঞ্জ), গন সময় অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। কোনো কিছু বুঝিয়া উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের উপর অতর্কিতভাবে আক্রমন করিলে আমাদের সামনে নাদিম তাহার হাতে থাকা ধারালো চা পাতি দিয়া আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার ভাইয়ের মাথার বাম পাশে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।নাদিমের সাথে থাকা অন্যান্যরা আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়া কোপ মারিলে উক্ত
কোপ আমার ভাইয়ের ঘারে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয় অন্য একজন আসিয়া তার হাতে থাকা বটি দিয়া আমার ভাইয়ের মাথা বরাবর কোপ মারিলে আমার ভাই বাম হাত দিয়া তা প্রতিহত করিতে গেলে বাম হাতের এবং শাহাদাত আঙ্গুলের উপরিভাগে কাটিয় দিখন্ডিত হইয়া যায়। অন্য আরেকজনের হাতে থাকা চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে আমার ভাই মাথা সরাইয়া নিলে আমার ভাইয়ের পিঠে লাগিয়া কাটা জখম হয়। এসময় আমার ভাই মাটিতে লুটাইয়া পরিলে তাহারা হাতে থাকা ধারালো চা পাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ ডান পায়ের বৃদ্ধাআঙ্গুলে লাগিয়া রগ কাটা ও গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ভাই মাটিতে লুটাইয়া পরিলে সকল আসামিগন আমার ভাইয়ের সমস্ত শরীরে লোহার রড দিয়া বাইরাইয়া কেচা, সিলা, নীলা-ফুলা মারত্মক জখম করে।
এ দৃশ্য দেখে আশেপাশের লোকজন আসিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় বলে বিল্ডিং এর নির্মান কাজ বন্ধ থাকিবে এবং এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মামলা মোকাদ্দমা করিলে জানে মারিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করিয়া ঘটানস্থল হইতেচলিয়া যায়।
পরবর্তীতে আমার ছোট ভাই জাহিরুল আমার ভাইকে উদ্ধার করিয়া সিএনজি যোগে নারায়নগঞ্জ তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আমার ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে ন্যায় বিচারে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।