আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শামসু মিয়া (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত শামসু মিয়া চনপাড়া পূনর্বাসন কেন্দ্রের ৬ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়ায় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, চনপাড়াপূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকার ইউনুছআলী (২২), নূরে আলম (৪০), খোকন মিয়া (৩০), শফিকুল ইসলাম (৪১), খোকন আহম্মেদ (৩৪), সোহেল মিয়া (৩৫), আব্দুররহমান (২৬), কামাল হোসেন (৩৯), রুপা আক্তার (২১), রোবেল আহম্মেদ (২৪), শাহ আলম (২৪) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮)।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার, মাদকব্যবসানিয়ন্ত্রণ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বজলুর রহমান বজলু ও জয়নাল আবেদীন গ্রুপের সঙ্গে শাহিন ওরফে সিটি শাহিন, রাজা, নাজমা গ্রুপের বিরোধ চলছিল। বিহত কয়েকদিন যাবৎ তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ,ভাংচুর সহ একাধিক বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সকল গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে। এ সংঘর্ষে বজলু গ্রুপের সমর্থক শামসু মিয়া নিহত হন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরেই চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্ইু গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে একাধিক লোকজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যায়। এ ঘটনায় আটককৃত ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (গ) সার্কেল আবির হোসেন বলেন, চনপাড়া পূনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে শরীফ নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হয়েছে ।