আমার নেত্রী বলেছেন, খান সাহেব ওসমান আলী ও আমাদের বাড়ি বাইতুল আমান ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘাটি। নেত্রী বলেছে, ‘ছিল’। এই ছিল কথাটাই আমার কাছে খারাপ লেগেছে। তাই আগামী ২৩ অক্টোবর ও ২৫ অক্টোবর সম্মেলনে ‘আছে’ প্রমান করে দিবো।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
তাঁর ভাষ্য, ‘আগামী ২৩ তারিখের সম্মেলন সুন্দর ও সুশৃংখল ভাবে করতে চাই।’
শামীম ওসমান বলেন, সম্মেলনকে সামনে রেখে অনেকেই আমাকে নিয়ে আলোচনা করছে। পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে। কিছু কিছু সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে, সম্মেলনে আপনি কি প্রার্থী কি না। আমি সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই। আমি কোন প্রার্থী না। আমি এবার দলের সাধারণ কর্মী আমি শেখ হাসিনার সৈনিক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির শেষ বাজেট ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা আর আমাদের শেষ বাজেট হয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা। করোনা না আসলে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশের জিটিপি হতো ৫০ এর উপরে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, আপনারা সাবধানে থাকেন। দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে। অথচ, এটা নিয়েও কটাক্ষ করা হচ্ছে। কারণ, শেখ হাসিনা তাঁর নাম, যিনি নিজের জাতিকে সত্য ম্যাসেজ দিয়ে সচেতন করছে।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরা সব কিছু ভূলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তখন আমাদের কর্মীদের ঘর থেকে বের করে এনে মারা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যে অত্যাচার হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী বাসায় থাকতে পারে নাই। এই জিনিসটা আপনারা মাথায় রাইখেন। তারপরেও আমরা শেখ হাসিনার কথায় সবকিছু ভুলে গেছি। আপনাদের এই কথা গুলো মাথায় রাখা উচিৎ, শুকরিয়া আদায়ের নামাজ পড়েন। কারণ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। নাহলে আপনাদের কি করুণ পরিনতি হতো আপনারা জানেন না। অথচ, এই সুযোগ নিয়ে বাচ্চা বাচ্চা ছেলে আমাদের গালি দিচ্ছে, এটা ভালো হচ্ছে না। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বলবো-ওদেরকে সুশিক্ষা দেন। এগুলো দেখে মানুষ কিন্তু আপনাদের বাহ্ বাহ্ দিচ্ছে না। মানুষ আপনাদের খারাপতো বলছেনই, সাথে বাপ-মার পরিচয় নিয়ে কথা তুলছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘ওনারা বলছে-১০ তারিখে খালেদা জিয়া আসবে, ১১ তারিখে তারেখ জিয়া আসবে। আসলে ঘোড়ার ডিম আসবে। ঘোড়া যেদিন ডিম পাড়বে, সেদিন ওইটা হবে। কিন্তু আমরা সবাই জানি, ঘোড়া ডিম পারে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল প্রমুখ।