অর্থের বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পোল্যান্ডের সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় দুর্নীতি দমন ব্যুরো (সিবিএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দেশটির নতুন ইউরোপপন্থী সরকার আগের প্রশাসনের অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাবেক এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর এক বিবৃতিতে সিবিএ জানিয়েছে, এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে বসবাসের অনুমতি বা রেসিডেন্স পারমিট ইস্যুর নিশ্চয়তা দেওয়া এবং পারমিট ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের সময় অভিবাসন ইস্যুটিকে নিজেদের প্রচারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিল ওই সময়ের ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (পিআইএস)। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ভিসা ইস্যুর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে পরিস্থিতি আর মোকাবিলা করতে পারেনি বিগত সরকার। ফলে ওই সরকার আবারো ক্ষমতায় গেলে তাদের হাতে পোলিশ সীমান্ত কতোটা সুরক্ষিত থাকবে, সেই প্রশ্নও বড় হয়ে ওঠে নির্বাচনি মাঠে।
পোল্যান্ডের গোপনীয়তা রক্ষা আইনের আওতায় প্রশ্নবিদ্ধ সাবেক উপমন্ত্রীর প্রকৃত নাম প্রকাশ করা হয়নি। এর বদলে সিবিএ তাদের বিবৃতিতে সাবেক উপমন্ত্রী নাম দিয়েছে পিওতর ডাব্লিউ। ঘুষের বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ইস্যুটি ফাঁস হওয়ার পর সাবেক পোলিশ সরকার তাকে উপমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল।
সিবিএ আরো জানিয়েছে, এই মামলায় মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিএপি প্রসিকিউটরদের বরাত দিয়ে বলেছে, এই অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে সাবেক দেশটির সাবেক উপপ্রতিমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের আগস্টে পোলিশ মিডিয়ায় আসা খবরে বলা হয়েছে, পোল্যান্ডের কনস্যুলার বিভাগগুলো ঘুষের বিনিময়ে ২০২১ সাল থেকে এশিয়া এবং আফ্রিকার অভিবাসীদের প্রায় আড়াই লাখ ভিসা দিয়েছে।
গত সপ্তাহেও ল অ্যান্ড জাস্টিস সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার ডেপুটি ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদেরকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।