অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ব্রাজিল। কাতারে গত বছরের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়। এরপর গত মার্চে মরক্কোর কাছে আরেকটি পরাজয়। টানা দুই ম্যাচ হারের পর শনিবার আফ্রিকান দল গিনিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিলো ব্রাজিল। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে স্পেনে এই প্রীতি ম্যাচটি আয়োজন করে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিল ও গিনির দেখা হয়েছিল এই প্রথমবার। দুই গোল হজমের পর আফ্রিকান দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও প্রত্যাশিতভাবে পাত্তা পায়নি। সপ্তম মিনিটে পাকুয়েতার বাড়ানো বলে লুকাসের শট গিনি গোলকিপার ইব্রাহিম কোনে গোললাইন থেকে এগিয়ে এসে ঠেকান। ফিফা র্যাংকিংয়ের ৭৯তম দলের বিপক্ষে গোল পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্রাজিলকে।
২৭ মিনিটে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বিতর্কিতভাবে। জোয়েলিনট অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করেন জাল কাঁপিয়ে। কিন্তু গোলটি বিল্ডআপের সময় কাসেমিরোর হাতে বল লেগেছিল।
রেফারি গোলটি বৈধ রাখায় গিনির খেলোয়াড়দের হতাশার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি গোল দিয়ে বসে ব্রাজিল। তিন মিনিট পর রদ্রিগো একক প্রচেষ্টায় দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
আফ্রিকান দলটি ম্যাচে ফেরে কিছুক্ষণের মধ্যে। ৩৬ মিনিটে দূরের পোস্টে সিলার বাড়ানো বলে উঁচুতে লাফিয়ে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন গুইরাসি।
বিরতির পরই ব্রাজিল ফের দুই গোলে এগিয়ে যায়। ৪৭ মিনিটে পাকুয়েতার ক্রসে এডার মিলিতাও হেড করে কোনেকে পরাস্ত করেন।
রিচার্লিসনের শট কোনে দারুণ সেভ না করলে ব্রাজিলের স্কোর ৫৮ মিনিটে ৩-০ হতে পারতো।
৭৬ মিনিটে ব্রাজিলকে ভয় ধরিয়ে দেয় গিনি। এডারসন পরপর দুইবার সেভ করে সেলেসাওদের বাঁচান। প্রথমবার ডানদিকে ঝাঁপিয়ে, পরেরবার বাঁ পা দিয়ে গিনির খেলোয়াড়দের শট ঠেকান। দুই মিনিট পর রিচার্লিসন সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। শট নিতে তিনি বেশ সময় নেওয়ায় কোনে ট্যাকল করে বল বিপদমুক্ত করেন।
খেলা শেষ হওয়ার আগে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ব্রাজিল। ৮৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে ম্যালকমকে ফাউল করেন গিনির সিলা। পেনাল্টি স্পট থেকে ৮৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গিনির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
আগামী মঙ্গলবার সেনেগালের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালে হবে ম্যাচটি।