নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ২৩ তারিখ জেলা ও ২৫ তারিখ মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন। আমি বলবো ত্যাগীদের মূল্যায়ন করুন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগার তাদের মূল্যায়ন করুন। মূল্যায়ন মানে শুধুই পদ পদবি বা টাকা নয়, সম্মান দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাতে শহরের ইসদাইরে নারায়ণগঞ্জ ওসমানী স্টেডিয়ামে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে বাস করেন। তার সবচেয়ে বড় প্রমান চন্দন শীল। তার দুই পা নেই, বোমা হামলায় পঙ্গু হয়েছেন। শেখ হাসিনা তাকেই জেলা পরিষদের মনোনয়ন দিয়েছেন। এই মনোনয়ন তৃণমূলের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের মনোনয়ন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি আমার বাচ্চা আপনার বাচ্চার ভবিষ্যত। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে জনসভা ডেকেছিলাম। নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসভা ছিল, এটা কত কথা বলা হল এটা নিয়ে। সেদিন কোথায় লোক শুরু আর কোথায় শেষ তা দেখা যায়নি। এগুলো আমার কথা নয় গণমাধ্যমের কথা। সেদিন ঠিক করেছিলাম আপনাদের সকলকে নিয়ে বসব। তাই আজকের এই আয়োজন।
তিনি বলেন, আগামীকাল আমি থাকব কিনা জানি না। ছেলেটা অসুস্থ। জাতির পিতার কন্যা বলেছেন আগামী দশ তারিখ আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের নামে সেতু উদ্বোধন করবেন। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাম দিয়েছেন আমার মায়ের নামে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আমার বাবা ও দাদা। এমন খুব কম পরিবার আছে যেখানে বাবা এবং ছেলে একসাথে প্রতিষ্ঠাতা। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমার মাকে অনেক ভালবাসত। ভাষা আন্দোলনের সময় আমার মা এখানে ভূমিকা রেখেছেন।
শামীম ওসমান বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ অনেক খেলা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ টার্গেট। এ জায়গাগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মেকাবিলা করব। আমাদের প্রশাসন র্যাব পুলিশ বিজিবি আমাদের গর্ব। ভাল খারাপ সব জায়গায় আছে। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর স্যালশন দেয়া হয়। কি কারনে স্যাংশন দেয়া হয়। এই সেদিন আমাদের সেনাবাহিনীর তিনজন সৈনিক শহীদ হয়েছেন। তারা শান্তির জন্য লড়াই করতে গিয়েছিলেন। তাহলে আমার প্রশ্ন যদি কোন ওয়াক্তিয়া শান্তিতে নোবেল পায় অনেকে কিছু না করেও শান্তিতে নোবেন পেয়েছে। তারা জীবন হারাচ্ছে তাহলে আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কি শান্তিতে নোবেল দেয়ার দাবী জানাতে পারি না।
বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এ দেশের হাতেগোনা রাজাকার ছাড়া আমরা সবাই কিন্তু সোলজার। আমাদের নেত্রী বারবার বলছেন সারা পৃথিবীর নেতারা মনে করছে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন আমরা ফেলে না রাখি। কয়েকদিন আগে গ্রিড ফেল করল। আমরা কত বিরক্ত হচ্ছিলাম। অথচ আট দশ বছর আগে আমরা প্রতিদিনই এমন ভেগান্তির শিকার হতাম।
এসময় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।