এর আগে ৬৬ মিনিটে স্টেডিয়ামে ৯৭৪-এ হলুদ উৎসব হয়েছিল। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দারুণ গোলে বাধসাধে অফসাইড। এরপর ক্যাসিমিরোকে থামানো যায়নি। ডি বক্সের বাম দিক থেকে বুলেট গতির শটে সুইস খরা ভেঙে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে সেলেসাঁওরা।
কন্টেইনারের উপর গড়া স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সোমবার রাতে ১-০ গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারায় ব্রাজিল। একমাত্র গোলটি করেন ক্যাসিমিরো। টানা ১৭ ম্যাচ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ব্রাজিল অপরাজিত। বিশ্বকাপে যে কোনো দলের মধ্যে তা সর্বোচ্চ।
শুধু তাই নয় সুইসদের বিপক্ষে এর আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে জিতেনি ব্রাজিল। ১৯৫০ ও ২০১৮ সালে যথাক্রমে ড্র হয়েছে ২-২ ও ১-১ এ। গোড়ালির চোটে ছিটকে যাওয়া নেইমারবিহীন ব্রাজিলই সেই খরা কাটালো। নেইমার না থাকায় ছিল দুশ্চিন্তা। সেটি খুব একটা বুঝতে দেননি ভিনিসিউসরা।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। এ সময় ডানদিক থেকে ক্রসে ভিনিসিউস জুনিয়রকে বল বাড়িয়ে দেন রাফিনহা। ভিনিসিউস বক্সের মধ্যে পা লাগিয়ে গোলপোস্টের দিকে পাঠান। কিন্তু সেটি কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সুইস গোলরক্ষক সোমার।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণ শানিয়েও গোল পায়নি ব্রাজিল। তাতে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। অবশ্য প্রথমার্ধের ৫৫ শতাংশ বলের দখল ছিল সেলেসাঁওদের কাছে। তারা গোলপোস্টের দিকে শটও নিয়েছিল ৬টি। তার মধ্যে তিনটি ছিল অন টার্গেটে। বিশেষ করে ভিনিসিউস জুনিয়র ও রাফিনহার নেওয়া অন টার্গেটের শট রুখে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার।
বিরতির পর ৫৭ মিনিটে ব্রাজিলের সহজ সুযোগ মিস। ভিনিসিয়াস বাঁ দিক আলতো শটে সুইজারল্যান্ডের গোলমুখে তুলে দিয়েছিলেন। দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু পায়ে বল লাগেনি। হালকা লাগলেই বল জড়াতো জালে।
অবশেষে ৮৩ মিনিটে আসে গোল। ডি বক্সের কোনায় বল পেয়েই আলতো পায়ে বাঁ দিকে দাঁড়ানো ক্যাসিমিরোর দিকে দিয়ে দেন ভিনিসিউস। বল পেয়েই জোরালো শটে ক্যাসিমিরো জড়িয়ে দেন জালে। সুইস গোলরক্ষক বুঝতেই পারেননি। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই মুখে চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
প্রথমার্ধে খুব একটা না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের মুহুর্মুহু আক্রমণে বিপর্যস্ত ছিল সুইসরা। বারবার রাফিনহাদের আক্রমণ নষ্ট হচ্ছিল সুইস ডিফেন্সে। রিচার্লিসন দুটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। দুটিই পাস দিয়েছিলেন ভিনিসিউস। পরে রিচার্লিসনকে তুলে জেসুসকে নামান ব্রাজিল কোচ তিতে। শেষ দিকে তার একটি আক্রমণ রুখে দেন সুইস গোলরক্ষক। আরেকবার রিচার্লিসনের মতো একই মিস করেন ভিনিসিউস। তবে তিনি বাঁ দিকে খেলেছেন দুর্দান্ত।
ম্যাচে ১৮টি শট নেয় ব্রাজিল। ৫টি ছিল অন টার্গেট। অন্যদিকে সুইসরা লক্ষ্যহীন ৫টি শট নেয়। ‘জি’ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে ২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট সুইসদের। ১টি করে পয়েন্ট ক্যামেরুন ও সার্বিয়ার। ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ ক্যামেরুনের বিপক্ষে ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায়।