কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমির হোসেন নামের ৭০ বছর বয়সী এক প্রবীণকে কোদালের পেছনের অংশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভোরে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের টামটা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিকেলে বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ জনকে আটক করে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।
নিহত আমির হোসেন টামটা এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।
মূল অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক এ বিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার।
আটককৃতরারা হলেন- পল্লী চিকিৎসক এ বিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার (৫৫), তার ভাই শামীম ওসমান (৪৮) ও শাহাদৎ (৩৫) এবং ওসমান গনির ছেলে সিয়াম (২৭) ও সিহাব (২৯)।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হুইল চেয়ারে বসে আছেন প্রবীণ আমির হোসেন। এসময় পল্লী চিকিৎসক নাসিম এসে কোদালের পেছনের অংশ দিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আমির হোসেন চেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে গেলেও পেটানো থামেননি নাসিম।
স্থানীয়রা জানান, আমির হোসেন ও নাসিম ডাক্তারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ সকালে আমির বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার ওপর গেলে তাকে একা পেয়ে নাসিম ডাক্তারের লোকজন হামলা করে। এতে আমির আহত হন। সংবাদ পেয়ে আমিরের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তখন আমির ঝগড়া থেকে সামান্য দূরে সরে যান। একপর্যায়ে নাসিম ডাক্তার গিয়ে আমিরের ওপর হামলা করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আমিরকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, আমির হোসেনের সঙ্গে নাসিরের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সর্ম্পকে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। এ হত্যার ঘটনায় নাসিরসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।