টানা ৫ ম্যাচ জয়ের পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের ধারা থামলো। টুর্নামেন্টে ধুঁকতে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেই গোত্তা খেলো মাশরাফির দল। টপ অর্ডারের সঙ্গে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৩৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারে সিলেট। সহজ সেই লক্ষ্য লিটন দাসের বিস্ফোরক ইনিংসে ৬ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে কুমিল্লা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। পাকিস্তানের ওপেনার রিজওয়ান ১৮ বলে ১৫ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। এরপর কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি (১৮)। ততক্ষণে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেছেন লিটন দাস। জয় থেকে ২৩ রান দূরে থাকতে লিটন ৭০ রানে আউট হন। ৪২ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় মাশরাফির শিকার হন বিস্ফোরক এই ব্যাটার।
লিটনের আউটের পর খুশদিল শাহ (৩) ও জাকের আলী (০) দ্রুত বিদায় নেন। তাতে অবশ্য কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় জয় পেতে সমস্যা হয়নি। জনসন চার্লস (১৮) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৫) অবিচ্ছিন্ন থেকে ৫ উইকেট নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের সেরা বোলার মাশরাফি। ১৯ রান খরচায় এই পেসার নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া শরিফউল্লাহ নেন একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা ৫ ম্যাচের পাঁচটিতে জেতার সুখস্মৃতি নিয়ে ব্যাটিং না সিলেটের ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান তুলতেই সিলেট হারায় ৭ উইকেট। এই সাত ব্যাটারের মধ্যে কেবল দুজন কোনোমতে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩) ও মুশফিকুর রহিম (১৬) রান করেন।
এরপরই মূলত শুরু হয় সিলেটের আসল ব্যাটিং। অষ্টম উইকেটে ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরো মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়েই সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৩৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। ইমাদ ৩৩ বলে ৪০ এবং থিসারা ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আবু হায়দার রনি ও তানভীর ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।