নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হীরা ও সালু বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে (৭০) হত্যার পর তার দুই ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। হত্যাকারীরা এতোটাই ভয়ঙ্কর সুরুজ মিয়া এবং তার ছেলেদের যেভাবে কুপিয়েছে তা দেখলেই বুজা যায়।
মারা গেছে। দুই ভাই হাসপাতালে বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন হলেও আহত ছেলেরা জানে না তাদের বাবা মারা গেছে। হাসপাতালের আইসিওতে রয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার ভয়ঙ্কর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হীরা ও সালু সহ তার বাহিনীর লোকজন যেভাবে সুরুজ মিয়া এবং তার ছেলেদের কুপিয়েছে তা দেখে মনে হয়েছে তারা শুধু খুনি নয় তারা পেশাদার কসাই। নিহত সুরুজ মিয়া এবং আহত তাদের ছেলেদের কুপানোর আঘাতের খত দেখলে যেকোন লোকের ঘা শিহরে উঠবে। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হীরা, সালু সহ বাহিনী কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। তাদের শাস্তি দেখে অন্য সন্ত্রাসীরা যেন শিক্ষা নিতে পারে। এমনকি এসব ভয়ংকর সন্ত্রাসীরা যেন কোন ভাবে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে।
নিহত সুরুজ মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী হীরা ও সালু বাহিনীর হাতে সুরুজ মিয়া খুন হওয়ার পর গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এক দিকে পরিবারের অভিভাবকের মৃত্যুর শোক অন্য দিকে দুই ভাই হাসপাতালে বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাড়িতে শোকের ছায়া হাসপাতালে আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা ছুটাছুটি করছে। পুরো পরিবার এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে পিতার খুনিদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দরবারে দৌড়াচ্ছে। তারা কি করবে কোথায় যাবে কিছুই বুজে উঠতে পারছে না।
এলাকাবাসী আরো জানান, আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে যেসকল সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং তাদের ছেলেদের কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির ব্যবস্থা করা হয়। সন্ত্রাসী হীরা, সালু সহ এই বাহিনীর যারা রয়েছে তাদেরকে যেন এলাকা থেকে আজীবনের উৎখাত করা হয়। আর হীরা, সালুর মত সন্ত্রাসীকে যারা মদদ দিচ্ছে এবং আগে পরে দিয়েছে তাদেরকেও যেন জনগনের কাছে চিহ্নিত করা হয়। আর সুরুজ মিয়া ছটপট করে মারা গেছে এবং তার ছেলেরা হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটপট করছে। ঠিক তেমনি হীরা, সালু সহ বাহিনীর লোকদের শাস্তি দেয়াব দাবি জানানো হয়।