দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মুক্তি পেয়েছেন।
নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাবে হাত তুলে বিএনপি মহাসচিব এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছে। ইনশাল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবেন।’
গণতন্ত্র ফেরানোর চলমান আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথাও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন বিএনপি মহাসচিব।
অন্যদিকে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ওরা রাষ্ট্রশক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে- ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ইসরাফিল খসরু চৌধুরী, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তির পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দুজনই গুলশানের বাসভবনের দিকে যান। এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম, একান্ত সহকারী ইউনুস আলী এবং স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু সঙ্গে ছিলেন।