নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও নারায়নগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি বলেছেন, ৭ তারিখ নির্বাচনের দিন আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নিজেরা যাবেন এবং অপরজনদেরও নিয়ে যাবেন।
আপনারা নারীরাও সেদিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে প্রমাণ করে দিন নারীরা ও প্রতিবাদ করতে শিখেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি পারিবারিক মিলনায়তনের মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রয়াত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের স্ত্রী সেলিনা সুলাতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লিপি ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা ভোট বানচালের চেষ্টা করছে আমরা তাদের ভয়ে ভীত নই। কারও ষড়যন্ত্রে আমরা পা দেব না। ৭ তারিখ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শামীম ওসমানকে জয়যুক্ত করুন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করেন।
পরে বিকেলে তিনি পঞ্চবটী পাঁচতলা কলোনির মাঠে উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুত গতিতে, পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রো রেল হয়েছে, টানেলসহ আরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যারা উন্নয়ন চায় না, যারা নিজেদের স্বার্থ চাইছে, আমি বিএনপির উদ্দেশে বলছি, বিএনপি দেশের উন্নয়ন বা জনগণের জন্য আন্দোলন করছে না, নিজেদের স্বার্থে আন্দোলন করছে। যদি তারা জনগণের জন্য আন্দোলন করতো তাহলে মানুষ পুড়িয়ে মারতো না।
তিনি বিএনপিকে নির্বাচন আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি জনগণ চায় তাহলে নির্বাচনে এসে তা প্রমাণ করতেন। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতো না। চার বছরের এক শিশুকে ট্রেনে আগুনে পুড়িয় হত্যা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করবো ৭ তারিখে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে। আমরা ১৯৭১ সালেও প্রতিবাদ করেছি। একটা মানুষ হিসেবে প্রতিবাদ করবো। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনারা প্রমাণ করবেন কোনো অন্যায় আপনারা মানবেন না। অসহযোগ আন্দোলনের সময় আমি দেখেছি একটা লাশ দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন গুলি করা হয়েছিলো। লাশ বহনকারী মানুষগুলো লাফাচ্ছিলো লাশও রাস্তায় পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের স্ত্রী হিসেবে বলছি না। আমি একজন মানুষ হিসেবে বলছি, ১৯৯৬ সালে তিনি যখন প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয় তখন তার নির্বাচনী এলাকায় ২৬ শত কোটি টাকার কাজ করেছিলেন। এতেই প্রমাণ হয় তিনি কাজ করতে পারেন। বাঁচা মরা আল্লাহর হাতে। আজকে আছি কালকে নাও থাকতে পারি। উনি কাজ করে যাচ্ছেন। শামীম ওসমান কর্মী বান্ধব নেতা। আপনারা যদি চান মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে, অগ্নিসন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করতে, সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে তাহলে ৭ তারিখ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। পতিতা পল্লী উচ্ছেদের পর তার ওপর বোমা হামলা হয়েছিলো। আমি সেদিন ভেবেছিলাম আমি বিধবা হয়ে গিয়েছিলাম। আমি রক্তাক্ত পথ মাড়িয়ে সামনে গিয়ে দেখি শামীম ওসমানের রক্তাক্ত দেহ। তখন সে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে আমি বেঁচে আছি। সেদিনের সে হামলায় সে বেচেঁ গেলেও আমাদের ২০টি ছেলে সেদিন মারা গিয়েছিল।