সোনারগাঁও উপজেলার ব্যবসায়ী কাওসার হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী গোলজারকে আটক করেছে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলের গাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে, চলতি বছরের ১৩ ফ্রেরুয়ারী (রেবাবার) সকালে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউসারের লাশ পায় পুলিশ। কাওসারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এবং পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য পৃথক ছিল।
পুলিশের দাবি, কাওসার মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আর তার পরিবার ও লাশ গোসল করা ব্যক্তিদের দাবি, কাওসারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানান, প্রথমত মটরসাইকেলে সড়ক দুর্ঘটনা হলে স্বাভাবকিভাবে যে পরিস্থিতি হয় তার কিছুই মটরসাইকেল ও মরদেহ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলনা।
এছাড়া, মৃতের শরীরের অন্ডকোষ ছিল থেতলানো আর ডান কানের লতির নিচের দিকে কিছু দিয়ে ছিদ্র করা ছিল। পরে গোলজার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করে দাবি করেছে, পুলিশের রাইফেলের বাটের আঁঘাতে মৃত্যু হয় কাওসারের। যদিও পরে অজ্ঞাত কারণে সে কথা থেকে সরে আসে গোলজার।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী গরু কিনতে (পরিবারের সদস্যদের ভাষায়) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচআনী গ্রামের তাইজউদ্দিনের ছেলে গোলজারের সাথে তার বন্ধু মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আবু জাফরের ছেলে কাওসার মটরসাইকেলে করে কুমিল্লায় যান। পরে তারা সময়মতো না আসায় পরিবারের লোকজন খোজ করলে ১৩ ফ্রেরুয়ারী সকালে কুমিল্লার ইলয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাউসারের লাশ পায় পুলিশ বলে জানতে পারে। ঘটনার পর থেকে কাউসারের বন্ধু গোলজার লাপাত্তা ছিল।
সে সময় পুলিশ জানায়, গোলজারের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি কাউসারের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি মরদেহের সাথে সামনে পুলিশ লেখা একটি মটরসাইকেলও সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যে মটরসাইকেলটি কাউসারের বন্ধু গোলজারের মেয়ে স্বামীর বলে জানায় নিহতের পরিবারের সদস্য ও পাঁচআনী গ্রামের স্থানীয়রা।
কাওসারের ছোট ভাই মাহবুব জানায়, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কাওসার গরু কেনার জন্যে একলাখ টাকা নিয়ে বের হয়। পরে আইনি আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ দাফনের জন্যে আনলে কাওসারের অন্ডকোষ থেতলানো এবং ডান কানের লতির নিচে আঘাতের চিনহ পাওয়া যায় পরে তার ছোট ভাই মাহবুব বাদি হয়ে গোলজারকে প্রধান আসামী করে ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।