ফতুল্লায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী নামে পরিচিত সালাউদ্দিন ওরফে সালু। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, পুলিশের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে তার নামে। এলাকায় কিশোরদের বিশাল একটি দল আছে সালুর নিয়ন্ত্রণে। সে দলে আছে মহিলারাও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে একাধিবার পালিয়েছেন তিনি। তবুও যেন শেষ রক্ষা হলো না সন্ত্রাসী সালুর।
ফতুল্লার ভোলাইলের শান্তিনগর ও দেওভোগের বাশঁমুলি এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ফতুল্লা মডেল থানার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয় সালাউদ্দিন ওরফে সালু (৩৫)কে।
সালাউদ্দিন ওরফে সালু ফতুল্লা ভোলাইলের শান্তিনগর এলাকার সফর মাঝির ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মাদক, চাঁদাবাজী, বিস্ফোরক, অস্ত্র আইন, আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ ও ডাকাতিসহ প্রায় ১৬টির অধিক মামলা রয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা বাসেল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ফতুল্লার কুখ্যাত সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালুকে, ফতুল্লা মডেল থানার একটি চৌকস দল বিশ্লেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল, হাবেন শিকদার, মায়ুন কৰিব (ট), সৈয়দ আজিজুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিমুজামান, রাজু শেখ ওবায়দুলসহ আরও সদস্য মিলে, দেওভোগ ভোলাইল থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, আসামীর কাছ থেকে একটি সাটার গান, চার রাউন্ড গুলি ও কিছু মাদকসহ (হেরোইন) গ্রেপ্তার করাতে সক্ষম হই। সে দেওভোগ এলাকার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিকার ফতুল্লা থানায় প্রায় ১৬টির অধিক মামরা রয়েছে। এই মামলার মধ্যে কোন হত্যা মামলা নেই। তবে ৩০৭ ও-৩২৬ এর হত্যার উদ্দেশ্যে মাসলা দায়ের করা আছে তার বিরুদ্ধে।
এসপি বলেন, সে দেওভোগ এলাকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু হিসেবে পরিচিত। সে স্থানীয় কিশোরদের যে দল, সেটি লালন পালন করে আসছিলো। মাদকের সাথে সে সরাসির ইনভল্ব। আমি নারায়ণগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই শুনেছি সে ওই এলাকায় খুব দুর্ধর্ষ। এলাকাটি বস্তির মতো, পুলিশ একাধিক বার তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালায়, তারা উল্টো পুলিশের উপর আক্রমন করেছে। এলাকার মহিলা ও কিশোদের পুলিশের সামনে লেলিয়ে দিয়ে প্রতিহত করা হয়। তবে গতকাল আমাদের একটি গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে আমরা সালাউদ্দিন ওরফে সালুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, আমাদের পুলিশ এই ধরণের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান চালাবে। সালু গ্রেপ্তার হয়েছে, এবার যে অপরাধী হোক না কেনো আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। ওই এলাকায় আরেকজন যে রাজু নামের সন্ত্রাসী আছে তাকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।