নিজেস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। তবে বৃষ্টি অল্প হোক বা বেশি, বৃষ্টি নামলেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকার রাস্তা ডুবে যায় পানির নিচে। শুধু তাই নয় এনসিসি দ্বারা নতুন করে উচু রাস্তা নির্মানের পরেও মিলেনি কোন সমাধান।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে হালকা বৃষ্টির পরেই নারায়ণগঞ্জের মূল সড়ক বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়কসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পথচারীরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের এমন দৃশ্য দেখে বলাবলি কওে ‘উন্নয়নের বন্যা এটা’।
স্থানীয়দের অভিযোগ বেশি বৃষ্টি তো দুরের কথা, অল্প বৃষ্টিতেও পানি জমে যায়। এমনই অভিযোগ তুলে নগরীর চাষাড়া এলাকার একজন জানান, এটা তো মূল সড়ক, এখানেই যদি এতো অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে, তাহলে ওয়ার্ড ভিত্তিক সড়কের অবস্থা কী ভাবুন। এ সড়কেই যদি এতো তাড়াতাড়ি পানি জমে যায়, তাহলে মহল্লার অবস্থা ধারনা করুন।
চাষাড়া দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। নগরীতে প্রবেশের অন্যতম পথ হচ্ছে এই সড়ক। ঙ্গবন্ধু সড়কস্থ সায়াম প্লাজার সামনের ব্যস্ততম সড়কে হালকা বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকায় অনেকেরই প্রশ্ন ‘উন্নয়ন কোথায়?’
পানি শুধু মূল সড়কেই নয় দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়ও। গলাচিপা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, রাস্তা নতুন করে নির্মান করায় অনেক ভালো লেগেছিলো, ভেবেছিলাম ময়লা নর্দমা ও ড্রেনের পানি থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু কই সেরকম কিছুই হলো না।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স এন্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ২০১৪-২০১৫ ইং হইতে ২০১৬-২০১৭ ইং পর্যন্ত সর্বমোট ৭.৮৯ কিঃ মিঃ নতুন রাস্তা ১১,১৫,৯০,১৫৩/- টাকা ব্যায়ে নির্মাণ এবং ১৪,১৬,১৭,৬৫২/- টাকা ব্যায়ে ৬.৮৫ কিঃ মিঃ ড্রেন নির্মাণ হয়েছে । এছাড়া ১৭,১৯,৮৪,৮০৯/- টাকা ব্যায়ে ৩৫.৬৪ কিঃ মিঃ রাস্তা মেরামত এবং ৫,৩২,৪৭,০৫৯/- টাকা ব্যায়ে ৮.৬৫ কিঃ মিঃ ড্রেন মেরামত করা হয়েছে ।
এ দিকে প্রশ্ন উঠছে এতো শতশত কোটি টাকার উন্নয়ন করার পরেও অল্প বৃষ্টিতে কেন জমছে পানি। সুধী জনদের মতে, উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু কোন কাজের জন্য নয়, দেখানোর জন্য। সুফল জনগন ভোগ করছে না, পকেট ভারী হয়েছে ঠিকাদারদের। নয়তো এত টাকার উন্নয়নের পরেও কেন পানি জমে যাচ্ছে বছর না যেতেই। তাদের সকল উন্নয়ন তো বছর না যেতেই পানির নিচে তলিয়ে গেলো। উন্নয়ন দেখানোর জন্য নয়, উন্নয়ন করা উচিত জনগনের সুবিধার জন্য। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশরতœ প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সফলতা ও সুনাম বাড়বে।