এখন গম পৃথীবিতে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না, ভুট্টা পাওয়া যাচ্ছে না। ধনী দেশ গুলো আগে থেকেই রিজার্প করছে। গম যদি না পাই, ভুট্টার মূল্য যদি বেড়ে যায়। তাহলে এর প্রভাব পড়বে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। গম-ভুট্টা থেকে উৎপাদিত হয় ভুষি, গরুর খাবার ও মাছের খাবার। ফলে এর প্রভাব পড়বে গরুর দুধের দাম, মাংস উৎপাদনে। ডিম, কিংবা মাছেও।
তাই আমাদের সম্পদের সৎ ব্যবহার করা উচিৎ। এক খন্ড জমিও আর ফেলে রাখার সময় নেই, কোন জিনিস অপচয় করার সুযোগ নেই। আমাদের একটা লাইট বিনা কারণে এক মিনিট জ্বালিয়ে রাখার সময় নাই। এখানে ৩টা ফ্যান (বিদ্যুত চালিত পাখা) দরকার ছিল না। সবকিছুই সাশ্রয় করতে হবে।
বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে চাষাঢ়ার টাউন হল (জিয়া হল) প্রাঙ্গণে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগের আয়োজনে ৭ দিন ব্যাপী এই মেলায় ৩০টি স্টলে অংশ নিয়েছে ২৭টি নার্সারী ও ২টি মধু খামারী।
শামীম ওসমান বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি জার্মান গিয়ে ছিলাম। তারা আমাকে জানিয়ে ছিল, তারা একটি প্রজন্ম দেশের জন্য লড়েছেন। আরেকটি প্রজন্ম নতুন প্রজন্মের জন্য কষ্ট করেছেন। এখন সেই জার্মান খুবই শক্তিশালী দেশে পরিনত হয়েছে। এখন যে সমস্যাটি চলছে, সেটা বিশ্ব ব্যাপী সমস্যা। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল। এখনও অন্যান্য দেশের তোলনায় ভালো আছে। আজকের যুগান্তর পত্রিকা পড়লে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। তারপরেও আমাদের এখন স্বস্তির নিস্বাশ নেওয়ার কারণ নাই। আমাদের এটাকে অতিক্রম করতে হবে। আর এটার জন্য নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসা দরকার। নতুন প্রজন্মের উচিৎ নিজের বাবা, মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। এরপর যে সমাজে থাকে, সেই সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। যাতে মৃত্যুর আগে বলতে পারেন, আমি আমার দেশের জন্য একটা ভালো কাজ করেছি।
শামীম ওসমান বলেন, আল্লাহ পৃথীবিতে সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন। দুবাই মরুর দেশ, সেখানে এখন সবুজ হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের সবুজ শ্যামল দেশটি দিন দিন মরুতে পরিনত হচ্ছে। লিংক রোড দিয়ে আসলাম। রাস্তার পাড়ে যে অবস্থা হচ্ছে, ময়লা, মৃত গরুও পড়ে থাকে। মানুষ এ গুলো দেখে, প্রশ্ন করে। বন বিভাগ থেকে গাছ বিনা পয়সায় বিতরণ করা হয়। আমার নামেও হয়তো কিছু এসেছে। আপনারা গাছ গুলো দিলে, ময়লা ফেলার স্থান গুলোতে গাছ গুলো রোপন করবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে গাছও হবে, সুন্দয্যও হবে। দেখতে খারাপ লাগবে না।
এ সময় আশার কথা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, এখন অনেকেই দেখি বাসার ছাদে, বারান্দায় গাছ রোপন করেন। দেখতেও ভালো লাগে। তাছাড়া গাছ গুলো শুধু পরিবেশটাকে সুন্দর করে না, ফলনও দেয়, উপার্যন দেয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুর ইসলামসহ নারায়ণগঞ্জের কর্মকর্তাগণ।