‘অলি উল্লাহ হলো আল্লাহর প্রেরিত শিক্ষক। আমাদেরকে তাঁরা সঠিক পথ দেখায়। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে পেতে হলে কিছু সোর্স লাগে। কিছু পরশ পাথরের মতো লাগে। যেটাতে আমাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যায়। ইসলাম নিয়ে জঙ্গিবাদী হামলা হয়। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। আসলে কোন ধর্মেই নাই। কেউ যদি বিনা কারণে একটা মানুষকে হত্যা করে, সে পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করলো। আর কেউ একটা মানুষের জীবন রক্ষা করলো, সে পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন রক্ষা করলো। এখানে কিন্তু মানুষ বলা হয়েছে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খিষ্ট্রান বলা হয় নাই। আমরা যদি রাসূল (সা) এর বিদায় হজ্জের ভাষণটা শুনি বাংলায়, তাহলে আমাদের আর কিছু লাগে না কিন্তু। তিনি ওই ভাষণে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন।’
শনিবার (২০ আগস্ট) সকালে এক সভায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিরাতে সব নামাজ শেষ করার পরে আমি ২ রাকাত শুকরিয়া নামাজ পড়ি। কারণ আজকের দিনটা আল্লাহ্ আমাকে বাঁচায় রাখছে। আর ২ রাকাত তওবা নামাজ পরি, কেন? যদি আমার অজান্তে যদি কোন পাপ হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্ম শক্তির ধর্ম না, শান্তির ধর্ম।
তিনি আরও বলেন, আমার বড় ভাই নাসিম ওসমান আমাকে বললো, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, অভিবাবক আমার মা। আব্বা তো অনেক আগেই চলে গেছেন। ২০০১ এর পরে অনেক হতাশ হয়ে গেলাম। দেশ ছেড়ে চলে গেলাম, খুব হতাশায় ভুগছিলাম। পয়সাকরি নাই, কিচ্ছু নাই। তখন একটা ঘটনা ঘটলো, ওই ঘটনায় আমার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ! যারা আমাদের দেশ থেকে যেতে বাধ্য করছে, আলহামদুলিল্লাহ। তখন অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলতাম, কেনো আপা কি সমস্যা। আসলে ছোট ছিলাম তো। তখন আমাকে নেত্রী ফোন করে বললো তুমি কি হতাশ হয়ে গেছো? আমি বললাম জ্বি। তিনি বললেন, যখনই জীবনে হতাশ হয়ে যাবা রাসূলের জীবনী পড়বা। আল্লাহর রাসূল দুনিয়াতে এতো কষ্ট করছে সেখানে তুমি আমি কে। তার কয়েকদিন পর মা আমাকে কল করে বললো বাবা নামাজ টা ঠিক মতো পড়ো। এর পরে ভাইয়া ফোন করলো, বললো আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করো।