আড়াইহাজারে একটি ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশের অভিযানে দূর্ধর্ষ ডাকাতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত ও ডাকাত দলের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এসময় পুলিশ চারটি রাম দা, একটি খেলনা পিস্তল, ডাকাতি করা মোটর সাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে আড়াইহাজার উপজেলার লেঙ্গুরদি এলাকায় বিশনন্দি ফেরিঘাট সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে একটি মোটর সাইকেলসহ আরোহিদের নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি করে সাত-আটজনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল।
তাৎক্ষণিক এ ঘটনার খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ ডাকাত দলের অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করতে ওইদিন রাতে রাজধানির ডেমরা এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা করলে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। রাম দায়ের আঘাতে পুলিশের একটি শর্টগানও ভেঙ্গে যায়। তখন থানা পুলিশের দল আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের এক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে ডাকাতদের একজনের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
এসময় ডাকাতরা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি রাম দা, একটি খেলনা পিস্তল, ডাকাতি করা মোটর সাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরে আহত তিন পুলিশ সদস্য ও ডাকাত দলের গুলিবিদ্ধ এক সদস্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ডেমরা ও আড়াইহাজার থানায় পৃথক দুইটি মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনকে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য।
তারা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কে ডাকাতি করে আসছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অন্তত তিন-চারটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে।