শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

আড়াইহাজারে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ বিশনন্দী ইউনিয়নে

  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২, ৪.১২ এএম
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের জমি রেজিস্ট্রি মাস খানেক ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা। অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ বিশনন্দী মৌজার একটি কোম্পানী জমি রেজিস্ট্রিতে দাবীকৃত চাঁদা চেয়ারম্যানকে না দেয়ার এ অলিখিত স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী জমির দালালী ও জমি বিক্রেতারদের হয়রানি বন্ধে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রি অফিস, দলিল লিখক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী, শম্ভুপুরা, দড়ি বিশনন্দী, টেটিয়া ও চর বিশনন্দী মৌজার জমি প্রথমে স্থগিত করা হয়। এই মৌজারগুলো মধ্যেই বাংলাদেশ ফলিত, পুষ্টি ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ‘ঢাকা ইনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওয়াতায় দৈনিক ১০৫ কোটি অপরিশোধিত পানি উত্তোলনের জন্য আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী এলাকার মেঘনা নদীর তীরে ইনটেক পাম্পিং স্টেশনসহ বেশ কিছু বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার ফলে এ মৌজার জমিগুলো বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কোম্পানী নজর পড়ে।

বিশনন্দী মৌজায় বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় দুইটি কোম্পানী তাদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য কিছু জমির ক্রয় করার পর তাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট প্রতি জমি রেজিস্ট্রিবাবদ চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা দরকষাকষিকে কেন্দ্র করে ওই পাঁচ মৌজার জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন অলিখিতভাবে স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া পুরো বিশনন্দী ইউনিয়নের জমি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ওই এলাকার সাধারণ জমি বিক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

বিশনন্দী এলাকার বাসিন্দারা জানান, জমি বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি মেয়ে বিয়ে দিবেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরছেন জমি বিক্রি করছে পারছেননা। মেয়েকে বিয়ে দিতে পারছেননা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্ভুপুরা মৌজা এলাকার বাসিন্দারা জানান, জমি বিক্রির টাকা দিয়ে মা চিকিৎসা করাবেন। ১০ দিন ধরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসলেও তার জমি রেজিস্ট্রি করতে পারেননি।

এদিকে দলিল লিখকরা এ ব্যপারে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলিল লিখক জানান, এমনিতে নিয়মিত সাবরেজিস্টার নেই। তারপর বিশনন্দী ইউনিয়নে দলি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ। ফলে তেমন কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

এ ব্যপারে বিশনন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, দালালরা ভূয়া পর্চা বানিয়ে এক জনের জমি অন্যের কাছে বিক্রিসহ এলাকার নিরীহ লোকদের নানাভাবে প্রতারণা করছে। তাই স্থানীয়রা যাতে হয়রানি কিংবা প্রতারনার শিকার না হয় সে ব্যপারে কিছু সাময়িক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, দলিল একেবারেই বন্ধ রয়েছে তা সঠিক নয়।

এ ব্যপারে আড়াইহাজার সাব রেজিস্ট্রার বজলুল রহমান বলেন, তার কাছে দলিল দাখিল করলে রেজিস্ট্রেশন করে দিবেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে পারবেন না বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশনন্দী ইউনিয়নে দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধের বিষয়ে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort