১৬ দিন পর দিদার হোসেন নামের এক যুবকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দিদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ–সংক্রান্ত মামলার পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
৩০ বছর বয়সী দিদার হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েরপাড়ের জালাল মিয়ার ছেলে। সে এলাকাতে দর্জির কাজের পাশাপাশি ফেরি করে বাদাম বিক্রি করতেন।
দুপুরে আদালতের নির্দেশে কুড়েরপাড় কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে. এম. ইশমাম, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিদার হোসেন গত ১৬ জুলাই বিকাল ৩ টায় বাসা হতে বের হয়ে ফিরে আসেনি। পরের দিন সন্ধ্যায় করিম মিস্ত্রির পুত্র আফজল মিস্ত্রির বসত বাড়ি হতে দিদারের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। আফজল মিস্ত্রি সর্ম্পকে তার মামা ছিলেন।
মৃত্যু স্বাভাবিক নয় উল্লেখ করে গত ২৩ জুলাই দিদারের স্ত্রী সুবর্না খাতুন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং -১৯ তারিখ ২৩/৭/২০২২। এরপর আদালত লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
দিদারের স্ত্রী সুবর্না খাতুন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমার স্বামীর সাথে তাঁর মামাতো বোনের পরকীয়া প্রেম ছিল, যেটা আমরা জানতাম না। আর এ কারণেই হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে লাশ ঘুমের জন্য ঘরের আপারে রাখা হয়েছিল। এ কারণে তিনি ন্যায়বিচার পেতে পুলিশের কাছে মামলা করেন।
নিহতের বাবা জালাল বেপারী কান্না জড়িত কন্ঠে লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমার নিরীহ ছেলে দিদার দর্জির কাজের পাশাপাশি বাদাম বিক্রি করে সংসার চালাতো। ১৭ জুলাই আফজলের বাসার কাড়ের উপর লাশ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে ফেলে। আমাদের লাশ দেখতে দেয়নি। থানা পুলিশ গেলে ২ লাখ টাকা খরচ হবে; এ বলে ভয় দেখায়। তাই তখন লাশ দাফন করে ফেলি।
সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কে. এম. ইশমাম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।