লাল-সবুজের জার্সি এখনও গায়ে জড়াননি হামজা চৌধুরী। তারও অনেক আগে থেকে হামজার জন্য এ দেশের ফুটবল সমর্থকরা অপেক্ষার প্রহর গোনা শুরু করে। হামজা কবে আসবেন বাংলাদেশে এই অপেক্ষায় এ দেশের কোটি ফুটবল সমর্থক। তবে এবার সমর্থকদের মতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
জামাল আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশ দলে যদি আরও তিন-চারজন হামজা চৌধুরী থাকত, তা হলে কী দারুণই না হতো! সম্প্রতি কোচিং কোর্স শুরু করেছেন জামাল, মামুনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। বাফুফের এএফসি এ ডিপ্লোমা কোর্স (পার্ট-১) শুরু করেছেন জামাল। সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং প্রশিক্ষক মিলিয়ে মোট ২৪ জন এবারের কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।
নিজের নতুন পথচলার শুরুতে হামজা চৌধুরীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে জামাল জানান, হামজার মতো আরও কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ে খেলা ফুটবলার বাংলাদেশ দলে থাকলে কেমন হতো!
সংবাদমাধ্যমে জামাল বলেন, ‘হামজার খেলা দেশের জন্য অনেক বড় বিষয়। কেননা উনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। তো হামজা আরও তিন-চারটা থাকলে দেশের জন্য ভালো না! হামজা এলে এটা সবার জন্য ভালো।’
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা লেস্টার সিটিতে যোগ দেন ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে ধারে যোগ দেন বার্টন অ্যালবিয়নে। এই ক্লাবে খেলেন ২০১৭ পর্যন্ত। গত মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলেছেন ২৬ বছর বয়সি এই ফুটবলার। সম্প্রতি হামজার সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচেই পাওয়া যাবে হামজাকে।
এদিকে চুক্তিগত কারণে চলতি মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারছেন না জামাল। আবাহনীর সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটেনি তার। এ কারণে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি করলেও খেলতে পারছেন না ৩৪ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।
জামালের আশা দ্রুতই বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে যাবে, ‘আবাহনীর সঙ্গে যে ইস্যুটা হয়েছে, সেটা হয়ে গেছে। এটা আমার সিদ্ধান্ত না, ওদের সিদ্ধান্ত ছিল। (লিগের দ্বিতীয় ভাগে কোন দলের হয়ে খেলব) ১০ দিনের ভেতরে সমাধান হয়ে যাবে। (এএফসি/ফিফার কাছে যাবেন কি না) দেখা যাক। এতদিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’