সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. ইয়াছিন মিয়া বলেন, আমি কোন কমিটি করি নাই বা জমা দেই নাই।
এ বিষয়ে কোন ভুল বুঝাবুঝির কোন কারণ নাই। আমি আপনাদের অত্যন্ত ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। আমার অসাবধানতার জন্য যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্যাডে লেখা গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড শাখা ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে আলহাজ্ব মো. ইয়াছিন মিয়া উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখা, ওয়ার্ড শাখা ও সকল সহযোগী সংগঠনের প্রাণপ্রিয় নেতাকর্মীদের জানাইতেছি যে, গত কয়েকদিন পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় অফিস থেকে ফোন আসে আমার নিকট।
ফোনদাতার নাম জনাব আশ্রাফ সিদ্দিকী বিটু, সাবেক প্রেস সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ড্যাটা বেইজ বিভাগ, ধানমন্ডি-৩।
তিনি আমার কাছে জানতে চায়, “সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সকল ওয়ার্ড কমিটি হয়েছে কি না?” আমি উত্তরে না বলিয়াছি। তখন তিনি প্রশ্ন করেন পূর্বের কমিটি আছে কি না? উত্তরে আমি বলিয়াছি বহুপূর্বে ওয়ার্ড কমিটি ছিল। এই কমিটির অনেকেই এখন মৃত।
তখন তিনি আমাকে পূর্বের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নামের তালিকা দিতে বলেন। বিধায় ১০টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নামের তালিকা হোয়াটস অ্যাপ এর মাধ্যমে পাঠাই।
সে সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মজিবুর রহমান সাহেব দেশের বাহিরে অবস্থান করছিলেন। আসলে আমি কোন কমিটি করি নাই বা জমা দেই নাই।
এ বিষয়ে কোন ভুল বুঝাবুঝির কোন কারণ নাই। আমি আপনাদের অত্যন্ত ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। আমার অসাবধানতার জন্য যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানাভাবে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার হচ্ছে।
এতে অনেকেই বলছেন সাধারণ সম্পাদক নিজে মনগড়াভাবে একক সিদ্ধান্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। এরপর এ নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।