নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি ভেবেছিলাম এই এলাকার মুরুব্বি যারা আছেন, তারাই এই মসজিদের উদ্বোধন করুক। কিন্তু চেঙ্গিস ভাইয়ের অনুরোধে আমার এখানে আসা। উনি এত বছর পরে কেন এই অনুরোধ করলেন, তা আমি জানি না। ২০০৪-২০০৫ এর দিকে আমি একবার এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন এই এলাকার কিছু মানুষ একটি মসজিদের জন্য আমার কাছে অনুরোধ করেছিলেন। আপনাদের এবং চেঙ্গিস ভাইয়ের অনুরোধে আমি বলেছিলাম, আমি এখানে একটি স্থায়ী মসজিদ করে দিবো।
ওই সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ছিল, তখন এলাকা থেকে তৈমুর আলম খন্দকার কাকা, তিনি বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিএপি ক্ষমতায় ছিল। উনি সহযোগীতা করেছিলেন, উনি বললেন তুমি এই জায়গাটা দাও মিনিস্ট্রীতে কোন সমস্যা হলে আমি দেখব। পরবর্তীতে আমরা আপনাদেরকে ৫শতাংশ জায়গা দিয়েছিলাম মসজিদ ঘর বানানোর জন্য।
আইভী বলেন, চাষাড়ায় বাগে জান্নাত মসজিদ যেটা, সেটাও আজকে থেকে ৫ বছর আগে করে দেয়ার কথা ছিলো, কিন্তু কমিটির সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে আমরা তা করতে পারি নাই। আজকে আমরা যে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে যাচ্ছি, সেটার পিছে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। যা সম্পূর্নটা সিটি কর্পোরেশন দিচ্ছে।
রোববার (২৭ জুন) বিকেলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় মাওলানা আলী (রাঃ) সিটি জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আইভী এসব কথা বলেন।
মেয়র আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জে আরও প্রায় ৭টি মসজিদ আমি করে দিয়েছি। শুধু মসজিদও না, আমি মন্দিরও করে দিয়েছি। আমি সকল ধর্মের মানুষেরই প্রতিনিধিত্ব করছি। এরই মাঝে বিভিন্ন কথা ছড়ানো হয়েছিলো। যেমন, মসজিদ ভেঙ্গে দিচ্ছি, বাগে জান্নাতের জায়গা দখল করছি। এগুলো সবই মিথ্যে। আমি আপনাদের পাশে সেই ২০০৩ থেকে যেভাবে কাজ করছি, এখনো সেভাবেই কাজ করছি। কে ভাট দিলেন, কে দিলেন না, কে গালি দিলেন বা কে খারাপ বলেন, আমার এটা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই।
মেয়র আইভী আরও বলেন, আল্লাহ আপনাদের জন্য আমাকে এই চেয়ার দিয়েছেন। আমার কাজ হচ্ছে, আপনাদের কাজ করে দেয়া। কেউ খারাপ বলবে আবার কেউ ভালো বলবে কিন্তু, দায়িত্ব আপনাদের বিবেকের উপরে। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে হবে নির্বাচন। আমিও চাইব আবার আসি। আমি চাইব প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আপনাদের কাছে আসব। ভোট দেয়া না দেয়া আপনাদের ব্যাপার। যে অপপ্রচার আমার বিরুদ্ধে বিগত ৩/৪ মাস যাবৎ চালানো হয়েছে, মসজিদ ভেঙ্গে দিচ্ছে, মন্দির ভেঙ্গে দিচ্ছে, জায়গা দখল করে নিচ্ছে নানা কিছু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. তৈমুর আলম খন্দকার, মাওলানা আলী (রাঃ) সিটি জামে মসজিদের সভাপতি মো. ইব্রাহীম চেঙ্গিস, এনসিসি প্যনেল মেয়র-১ আফসানা আফরোস বিভা, এনসিসি ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হোসেন শকু প্রমুখ।”