কাইল মেয়ার্স ও লোকেশ রাহুলের জুটিতে ভালো শুরু পায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। তবে রাজস্থান রয়্যালসের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি।
তবে বোলিংয়ে এসে লক্ষ্ণৌও করে নিয়ন্ত্রিত বোলিং। আর এই আসরে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জিতে নেয় ম্যাচও।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ২৬তম ম্যাচে রাজস্থানকে ১০ রানে হারায় লক্ষ্ণৌ। জায়পুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানেই থেমে যায় রাজস্থান।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ বলে ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন লক্ষ্ণৌর মেয়ার্স ও রাহুল। তবে ধীরগতির শুরু করেও ৩৯ রানে উইকেট হারাতে হয়েছে দলের অধিনায়ককে। তবে মেয়ার্স ঠিকই তুলে নেন অর্ধশতক; ৪০ বল খরচায়। এরপর আর এক রান যোগ করতেই শিকার হন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। তিনে ও চারে নেমে ৩ রান যোগ করতেই বিদায় নেন আয়ুশ বাধোনি ও দিপক হোডা।
মাঝে মার্কাস স্টয়নিস ও নিকোলাস পুরান ৩৪ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন মাঝারি সংগ্রহ। ১৬ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন স্টয়নিস। ২০ বলে ২৯ রান করে রান আউট হন নিকোলাস পুরান। রাজস্থানের পক্ষে জোড়া উইকেট নেন অশ্বিন। একটি করে উইকেট পান ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দ্বীপ শর্মা ও জ্যাসন হোল্ডার।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে ভালো শুরু পায় রাজস্থানও। ইয়াসাবি জায়সাওয়াল ও জস বাটলার গড়েন ৭০ বলে ৮৭ রানের জুটি। তবে ফিফটি স্পর্শ হলো না কারও। দুইজনের উইকেটই তুলে নেন স্টয়নিস। জায়সাওয়াল ৩৫ বলে ৪৪ রান। বাটলারের সংগ্রহ ৪১ বলে ৪০ রান। মাঝে সাঞ্জু স্যামসন ২ রান করে বিদায় নেন। সমান রান করে উইকেট হারান শিমরন হেটমায়ারও।
এরপর দেবদূত পাডিক্কালের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের আশা দেখান রিয়ান পরাগ। তবে আবেশ খান এসে ২৬ রানে পাডিক্কালকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙে দেন। শেষপর্যন্ত পরাগ লড়ে গেলেও জেতাতে পারেননি দলকে। ১২ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
লক্ষ্ণৌর হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন আবেশ। ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন স্টয়নিস।
জয় পেয়েও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় শীর্ষে হয়ে ওঠেনি লক্ষ্ণৌর। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তারা। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে রাজস্থান।