ইংল্যান্ডের বোলিং তোপে পার্থে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারলেন না। ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অলআউট হলেন তারা। তবে এই রান তাড়া করে জিততেও ঘাম ঝরাতে হলো ইংল্যান্ডকে। ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে তারা। ৫ উইকেটের কষ্টার্জিত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো ইংলিশরা।
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জস বাটলার ও আলেক্স হেলস ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন। ৫ ওভারে তোলেন ৩৫ রান। কিন্তু এরপর বিদায় নেন বাটলার ব্যক্তিগত ১৮ রানে। ৫২ রানে যেতেই সাজঘরে ফেরেন হেলসও। ১৯ রান করেন তিনি। ইংল্যান্ডের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটিও তিনি হাঁকান।
এরপর ৬৫ রানে বেন স্টোকস (২), ৮১ রানে দাওয়িদ মালান (১৮) ও ৯৭ রানে হ্যারি ব্রুক (৭) আউট হন।
সেখান থেকে লিয়াম লিভিংস্টন ২১ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৯ ও মঈন আলী অপরাজিত ৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে আফগানিস্তানের পাঁচজন বোলার ১টি করে উইকেট নেন। তারা হলেন- ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমান, রশিদ খান, ফরিদ আহমদ ও মোহাম্মদ নবী।
৩.৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন ইংল্যান্ডের পেসার স্যাম কারান।
তার আগে স্যাম কারান একাই কাঁপিয়ে দেন আফগানিস্তানকে। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দেন। তার গতির ঝড়ে পরাস্ত করে সাজঘরে ফেরান ইব্রাহিম জাদরান, উসমান ঘানি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকিকে।
এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন এই মিডিয়াম পেসার। তার এমন কীর্তি গড়ার দিনে ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান ১৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১১২ রানে।
কারান ছাড়াও বেন স্টোকস ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি ও মার্ক উড ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে আফগানিস্তানের ৭ ব্যাটসম্যান আউট হন দুই অঙ্কের কোটা ছোঁয়ার আগেই। চারজন ছুঁতে পারেন দুই অঙ্কের কোটা। তার মধ্যে ইব্রাহিম জাদরান ৩২ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। উসমান ঘানি ৩০ বলে করেন ৩০ রান। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩ ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১০ রান করেন।
এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে তিনবারই হারলো আফগানরা।