নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, এর আগে সদর উজেলায় পাঁচ জন নারী ইউএনও এসেছেন, আপনি (মো: রিফাত ফেরদৌস) কেনো আসছেন জানি না। ওনাদের মধ্যে যখন কেউ আসছে, ওনারা যখন কাজ করতে পারবে না তখন একটি মিষ্টি হাঁসি দিয়ে বলছে ভাই পরে আইসেন মানুষ খুশি হয়ে চলে গেছে। আপনার আমার হাঁসিতে কাজ হবে না। সো ইউ হেভ টু দ্যা ওয়ার্ক, আপনাকে কাজ টা করতে হবে। আমার আর আপনার জীবন এক সেটা হচ্ছে আপনার, আমার কাজটা করতে হবে। এছাড়া কোন পথ নাই। এই হাঁসিতে কাজ হবে না। আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় সদর উপজেলার ইউএনও আরিফা জহুরার বিদায় ও নবাগত ইউএনওকে বরণ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন এই করোনার মধ্যে আমরা মানুষ চিনেছি এই জায়গাটা কিন্তু সবাই ভুলে যাইয়েন না। নারায়ণগঞ্জের মধ্যে আমি অনেক কিছু দেখেছি। আমি আমার স্ত্রী (লিপি ওসমান) হাসপাতালে যখন একজন রোগি ভর্তি করতে পেরেছি তখন নফল নামাজ পড়েছি আবার হাসপাতল থেকে বের হয়ে আসছি তখন আবার নফল নামাজ পড়েছি।
শামীম ওসমান বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে দেখলাম অনেকে বাবার লাশ ঘরে ফেলে রেখেছে, ছেলে বাবার লাশ ধরে নাই, আমরা দেখেছি বাবুরাইলে এক গ্রিটারইষ্টের লাশ সারা রাত বাবুরাইলে পড়েছিলো কেউ উঠায় নেয় নাই। আমরা এও দেখেছি গলাচিপায় স্বামীর লাশ পড়ে আছে উপর থেকে বলতাছে ‘ভাই নিয়ে যান নিয়ে যান‘। সবাই যখন নিয়ে যাচ্ছে তখন বলতে দেখা গেছে ভাই তোশকটাও নিয়ে যান আগুন দিয়ে পুড়ায়া দেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা, নবাগত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো রিফাত ফেরদৌস , উপজেলা চেয়াম্যান আবুল কালাম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান ফাতেমা মনির, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়াম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ