সোনারগাঁ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বস্তল মৌজায় হৌটাবো এলাকায় আদালতের নিষেধজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে ভূক্তভোগী ফয়েজুর রহমান বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সেখেরহাট গ্রামের ফজলুল হক ভূঁইয়া ৭ ছেলে ও এক মেয়ে ও স্ত্রী ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর ফজলুল হক ভূঁইয়ার তৃতীয় ছেলে খলিলুর রহমান ভূইয়া শ্যামল এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে পরিবারের সবাইকে জানান বিভিন্ন দাগের তার বাবা ২০৬ শতাংশের অধিক জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে দান করে যায়। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর অন্যান্য ওয়ারিশরা আশ্চর্য হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল খোজ করিয়ে এর সত্যতা প্রমাণ পায়। ফজলুল হক ভূঁইয়ার তৃতীয় ছেলে খলিলুর রহমান ভূইয়া শ্যামল ফজলুল হক ভূঁইয়াকে চিকিৎসার অজুহাতে স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের পাশ্ববর্তী বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে অপরিচিত লোকজনকে স্বাক্ষী রেখে টিপসইয়ের মাধ্যমে দলিল তৈরি করেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওই সকল জমির উপর আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্যামল তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে পাহাড়া বসিয়ে বস্তল হৌটাবো এলাকায় ওই জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ফজলুল হক ভূঁইয়ার ছেলে ফয়েজুর রহমান ভূইয়া বাদি হয়ে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী ফয়েজুর রহমান ভূইয়া জানান, তার বাবা একজন শিক্ষিত লোক ছিলেন। অসুস্থ্য থাকাবস্থায়ও তিনি পড়তে ও লিখতে পারতেন। তার ছোট ভাই খলিলুর রহমান ভূইয়া শ্যামল তার বাবাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। কিন্তু পাশ্ববর্তী বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে তার বাবার টিপসই নিয়ে দলিল তৈরি করেন। এতে এটাই প্রমাণিত হয়। বাবা শিক্ষিত হয়ে টিপসই কেন দেবেন। এ দলিল প্রতারণার মাধ্যমে বাবার অজ্ঞাতসারে তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত সকল সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শ্যামল ওই সম্পত্তি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে খলিলুর রহমান ভূইয়া শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ জমি আমার বাবা মৃত্যুর আগে আমাকে হেবা ঘোষনার মাধ্যমে দিয়ে গেছেন। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা পাইনি।