আড়াইহাজারে দরিবিশনন্দী এলাকায় পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর পরিবার ও গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববব্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে দড়িবিশনন্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন হামলার শিকার সুমন মোল্লা, আলাউদ্দীন মোল্লা, দাইয়ান মোল্লা ও আকলিমা বেগমের পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী।
বিক্ষোভ মিছিলটি দড়িবিশনন্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দড়িবিশনন্দী কাঠালতলা এসে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভরারীরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হামলাররীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ট তদন্তের দাবি জানান।
এরআগে বুধবার সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দড়িবিশনন্দী মোল্লাবাড়ী এলাকায় এক হাজার টাকা পাওনা কে কেন্দ্র করে মহিলাসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে এদের মধ্যে আহত সুমন (৩৮) এবং আলাউদ্দীন (৩৫) কে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওইদিনই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বিশনন্দী গ্রামের আলাউদ্দীনের কাছে ১ হাজার টাকা পাওনা ছিল একই গ্রামের সোহেল। বুধবার সকালে পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করে সোহেল আলাউদ্দীন কে জনৈক ফারুকের বাড়ীর সামনে পেয়ে মারধর করে।
এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে সোহলের পক্ষে অবস্থান নেন ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মুকসুদুর রহমান ও তার লোকজন। এ সময় মুকসুদ মেম্বার ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলাউদ্দীনসহ তার পক্ষের সুমন (৩৮), দায়েন এবং আকলিমা কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্বজনেরা তাদেরকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে আলাউদ্দীন ও সুমনের অবস্থা আশংকাজনক বিধায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বাকী দুজন উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে\ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমনের মাথার খুলি কেটে মগজ বের হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে আহত সুমনের ভাই ফারুক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতেই ইউপি সদস্য মুকসুদুর রহমানসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।