প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না। এমনিতেই ভোট পায়। তিনি আরো বলেছেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ হতে পারে এবং এর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে পারে না। গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
স¤প্রতি অনুষ্ঠিত ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং উপনির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা যে আমরা করতে পারি সেটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আর কারও কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।
যে সব দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে স¤প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহŸান জানান। যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে তাদের ভোট প্রদান করেছেন। তিনি বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মেয়র নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না। এমনিতেই ভোট পায়। আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে যতবার হারানো হয়েছে, চক্রান্ত করেই হারানো হয়েছে। বরং জনগণের ভোট ডাকাতি করেই আওয়ামী লীগকে ভোট পেতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যখনই এ দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তার প্রমাণ ২০০৮ সালের তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে। সেখানে কিন্তু বিএনপির আপনজনই ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী বিএনপিকে কেউ ভোট দেয়নি। সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। তাদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। কক্সবাজার মেয়র নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন… এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা, কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ভোট ডাকাতি করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম, ভোট ডাকাতি করাই তাদের অভ্যাস। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণকে সচেতন করেছি। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এটা আমাদের ¯েøাগান। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে।
এ সময় রিজার্ভের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের খাবার কেনার মতো সক্ষমতা এখনো আছে। আর খাদ্যের অভাবও নেই। রিজার্ভের টাকা দিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাÐে ব্যয়ের ফান্ডের কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেটা রিজার্ভের হিসাবে আনা যায় না। সেটা আনলে আমাদের রিজার্ভ আরও বেশি হয়। সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা রিজার্ভ হিসাব করব। তাতে কিছুু আসে যায় না।