শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

অবরোধ কেউ মানছে না: শামীম ওসমান

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩.১১ এএম
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও দলীয় প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, অবরোধ কেউ মানছে না, এটা সবাই জানে। আমাদের পুলিশ খুব ভালো কাজ করছে।

নারায়ণগঞ্জে রেললাইন কাটতে গিয়ে বোমাসহ তিনজন ধরা পড়েছে। এ অবরোধ মানুষ কেয়ার করছে না।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এরা সবাই আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আমি এর আগেও এসেছি, তবে এমন সারা পাইনি। এবারের সারাটা কেমন জানি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার চাওয়া মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে নিয়ে কাজ করবে। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন একটিভ। তারপরেও ওরা বাড়াবাড়ি করলে আমরা জনগণের দল। আমাদের ওপর হামলা করলে মেনে নেব। যদি দেখি সাধারণ জনগণের ওপর হামলা তাহলে ধৈর্যের বাঁধ রাখতে পারবো না।

 

এর আগে উঠান বৈঠকে শামীম ওসমান বলেন, আমি ভোট চাইতে আসিনি। ধরেন এটা একটা বাগান। এখানে ফল গাছ লাগালে ফল পাবেন। ফুল গাছ লাগালে ফুল পাবেন। সেটা লাগালে আপনার পরিচর্যা করতে হবে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি পাঁচ বছর আগে। আমরা যত কাজ করেছি নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এত কাজ হয়নি। এখানে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে আইটি ইনস্টিটিউট হবে, বহু কাজ হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আমি এমপি হওয়ার পর দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ শ’ কোটি টাকার কাজ করেছিলাম। এবার আমরা এখনও যোগ করতে পারিনি মোট কত টাকা খরচ হচ্ছে।

আমি আবার নির্বাচন করবো এমন ইচ্ছা নেই উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, কিন্তু আল্লাহর হুকুম ছাড়া তো গাছের পাতাও নড়ে না। আমি এ নির্বাচন পর্যন্ত বাঁচবো কিনা সেটাও জানি না। পৃথিবীতে একটাই সত্য, আমি মারা যাবো। আমার বাবা-দাদা এমপি ছিলেন। আমরা রাজনীতিতে খেতে আসিনি। আমার বাবা এমপি হয়ে বাড়ি বন্ধক রেখেছিল। সে বাড়ি শ্রমিকরা চাঁদা দিয়ে ছাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আমি আপনাদের সাহায্য চাই। এত কাজ আমরা করবো এগুলো ভোগ করবে কে। আপনি কার জন্য কষ্ট করছেন, আপনার সন্তানদের জন্য। কিন্তু এই মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং আমাদের সমস্যা। আমি একটা সমাজ করতে চাই যেখানে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থাকবে না। আমরা একটা সংগঠন করব প্রত্যাশা নামের। সেখানে সমাজের সব ভালো মানুষগুলো থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সেদিন ফতুল্লা গিয়েছি। আমাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমো দিয়ে দোয়া করে দিয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে এক বয়স্ক নারী আমার হাতে সেদিন একশ টাকা গুঁজে দিয়েছেন। আমি বললাম এটা কী, বলে এটা সালামি রাখ। ওই একশ টাকা আমার কাছে একশো কোটি টাকার সমান।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort