রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় এবার ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। কাঙ্খিত দর না পাওয়াতে বাকি আছে একটি। ঈদের তিনদিন আগে থেকে হাট বসানোর অনুমতি দেওয়ার কথা থাকলেও উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট ইতিমধ্যে বসতে শুরু করেছে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই আবার মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিন সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, কোভিড পরিস্থিতিতে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি রয়েছে উপেক্ষিত। হাটে গরু নিয়ে আসা বেপারী ও তাদের কর্মচারীরা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অধিকাংশ হাটের সামনেই নেই জীবাণুনাশক ট্যানেল ব্যবস্থা। কয়েকটি হাটে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো দেখা গেলেও তা ব্যবহারে উদাসীনতা দেখা গেছে। হাটে দুই পাশে পশুর মাঝখান দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের কোনো ব্যবস্থা নেই। হাটে আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশই বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে হাটগুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মাইকিং করছেন।
সদর উপজেলার ফতুল্লায় ডিআইটি মাঠের হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মাইকিং করতে শোনা গেলেও তা মানছেন না অনেকেই। হাটের প্রবেশপথে জীবাণুনাশ ট্যানেল দেখা যায়নি। হাটের অদূরে বাসা কিশোর ফারদিনের। হাটে কী পরিমাণ গরু উঠেছে তা দেখতে এসেছেন তিনি। তবে তার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকজন কম তাই মাস্ক পরেননি। তবে তার পকেটে মাস্ক রয়েছে।
একই চিত্র দেখা গেল কাশীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন স্কুল মাঠের অস্থায়ী হাটটিতে। হাট বসানোর অনুমতি পাওয়ার আগেই বসেছে এই হাট। হাটটির ইজারা পেয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ৮ নম্বর ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী। এই হাটের বেপারী, তাদের কর্মচারী ও হাটে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি। শিশু ছেলেকে নিয়ে হাটে আসা ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন বলেন, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এখনও হাটে ভিড় বাড়েনি। তবে সামনে ভিড় বাড়লে অবস্থা ভয়াবহ হবে।
জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, ঈদের তিনদিন আগে থেকে হাটের কেনা-বেচার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। সকলে সহযোগিতা করলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুন্দরভাবে হাট পরিচালনা করা যাবে। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারি বিধি-নিষেধের ব্যাত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথাও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার ১৪টি হাট ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬টি হাটের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে।