বন্দরে ১নং খেয়াঘাটে অবৈধ দখলে থাকা দোকান পাট ও বাজার উচ্ছেদের চার দিন পরই আবারো দখল করে দোকানপাট স্থাপন করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
তবে নজরদারি দেখা যায়নি পুলিশ কিংবা বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষের। প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ নাকের ডগায় এসব দোকানপাট বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা ১২ টায় বন্দর খেয়াঘাট, ময়মনসিংপট্রি, রূপালী ও আমিন আবাসিক এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্নপরিচালক মো: শহীদুল্লাহ ও উপ-পরিচালক ইসমাঈল হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ওই অভিযানের চারদিন পরেই আবারো একইভাবে বেদখল হতে শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএর জায়গা। সেই আগের দখলদারদের হাতেই চলে যাচ্ছে উচ্ছেদকৃত জায়গাগুলো। আবারও তোলা হয়েছে আগের মতো দোকানঘর।
বরিবার (১৪ মে) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দর ১নং খেয়াঘাটে চলাচলের রাস্তাটির দু’পাশে আগের মতই দোকান বসিয়েছে। এছাড়াও কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও যাত্রী ছাউনীতে দোকান বসছে। এই দোকান গুলো থেকে প্রতিদিন চাঁদা উঠানো হয়। আর এই চাঁদা গুলো কালেকশন করা হয় যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দারের নামে।
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে দোকান বসাতে হলে যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দারের অনুমতি লাগে, তার অনুমতি ব্যতিত এখানে কেউ দোকান বসানোর কথাও চিন্তা করে না। যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সেকেন্ড ইন কামান্ড হিসেবে তার সাম্রাজ্য দেখাশুনা করেন যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার।
স্থানীয়রা জানায়, উচ্ছেদ অভিযানের তিনদিন অতিবাহিত হতে না হতেই একটি প্রভাবশালী মহল সরকারি জায়গা দখল করে দোকানাট সহ বাজার বসিয়ে পূর্বের মতো চাঁদা উত্তোলন করছেন তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোন নজরদারী নাই বললেই চলে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, বন্দর ১নং খেয়াঘাটে বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ অভিযানের পর মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এলোও পূনরায় আবারও দখল হয়ে গেছে। যার জন্য রাস্তার দু’পাশে হাটাঁচলা করতে সমস্যা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবলীগ নেতা খান মাসুদের দুই সহযোগী যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার ও খাইরুল আলম সুজন এই দুজনের নামে ফুট থেকে ১০০/২০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন চাঁদা তুলে।
এছাড়াও ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এডবান্স নিয়ে কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারের দোকান বসানোর অনুমতি দিয়ে থাকে। আমাদের পরিবার আছে তাদের নিয়ে আমার সংসার চালাতে হয়, এজন্য আমি এখানে দোকানদারি করি।
তিনি আরও জানান, উচ্ছেদ অভিযানের পর যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার বলেছেন কয়েক টা দিন যাক তার পর দোকান বসানের ব্যবস্থা করছি। তবে প্রথম অবস্থায় ৮/১০টি দোকান বসানো যাবে, ধীরে ধীরে আগের মত করে সবাই বসতে পারবে।