শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১, ৬.৩২ এএম
  • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

রুদ্রবার্তা২৪.নেট: : দীর্ঘ ১৪ দিন পর কঠোর লকডাউন শিথিল ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠছে নগরীর মার্কেটগুলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেটগুলোতে পা ফেলাই দায়। করোনা পরিস্থিতিতে কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই চলছে বেচাকেনা। শুক্রবার (১৬ জুলাই) নগরীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে চাষাড়া সান্তনা মার্কেট, সমবায় মার্কেট, সায়েম প্লাজা, প্যানোরোম প্লাজা, হক প্লাজা, হকার্স মার্কেট, কালীরবাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, রিভার ভিউ মার্কেট, ডিআইটির আজহার সুপার মার্কেট, ওয়ালী সুপার মার্কেট, এফ রহমান সুপার মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভিড় ও দোকানগুলোর আয়তন ছোটো হওয়াতে গাদাগাদি করেই চলছে বেচাকেনা। যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।
অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব মানার সুযোগ নেই বললেই চলে। আগত ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও বেশিরভাগ মার্কেট দোকানগুলোতে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অধিকাংশ মার্কেটগুলোর বাইরে ছিল না জীবাণুনাশক টানেল। এছাড়াও হাত ধোয়া, কিংবা স্যানিটাইজার স্প্রে করার ব্যবস্থা চোখে পরেনি অধিকাংশ মার্কেটগুলোতে।
শুধু মার্কেটগুলো নয় বঙ্গবন্ধু সড়কে দু’পাশে থাকা ফুটপাতগুলোতে ছিল না পা ফেলার মত জায়গা। যার কারণে পথচারী চলাচলের পাশাপাশি বেগ পেত হচ্ছে যানবহান চলালচলে। এই ভিড় ঠেলেই নিজের পছন্দের জিনিস খুঁজতে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা। যাতে ক্রেতাদের পাশাপাশি তাদের সাথে আসা ছোট শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
কালীরবাজার ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেটে আসা ক্রেতা শারমিন বলেন, ‘স্বামী গার্মেন্টসে কাম করে। আজকে একটু ছুটি পাইছে দেইখা শাশুড়ি আর মার জন্য কাপড় কিনতে আইছি। এত ভিড় থাকবো চিন্তায় আহে নাই। আর এই ভিড়ের ফায়দা নিতাছে দোকানদাররা ৭০০ টাকার কাপড় হাজার-বারোশ’ চাইতাছে। নিলে নেন না নিলে কোনো দামাদামি চলবো না।’
রিভার ভিউ মার্কেটে আসা ক্রেতা নয়ন বলেন, ‘কালকে বেতন পাইছি। রবিবার দিন দ্যাশে যামু তাই আব্বার লাইগা পাঞ্জাবী আর ছোট ভাইয়ের লাইগা একটা শার্ট কিনতে আইছি। আর যে গরম মাস্ক পরতে ইচ্ছা করে না।’
সান্তনা মার্কেটের বিক্রেতা আলিফ বলেন, ‘গতকালকে আরও ভিড় ছিল। আজকে তুলনামূলক একটু কম। এরকম থাকলে আমাদের টার্গেটটাও পূরণ হবে। অন্যসব দোকানে কী অবস্থা জানি না, তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেচাকেনা করছি।’
ডিআইটির এফ রহমানের বিক্রেতা রিয়াদ বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে একটু বেচাকেনা বেড়েছে। শুরুর দিনে তেমন চাপ না থাকলেও আজকে অনেক চাপ। আর আমরা স্যানিটাইজার রেখেছি। যার যার দরকার হয় সে ব্যবহার করে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort