নারায়ণগঞ্জ বন্দরে টেন্ডার বা অনুমতি ছাড়া সরকারি খাস জমির গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদপ্রার্র্র্থী ফয়সাল কবিরগং এর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা বলছেন, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানিয়েই তারা গাছ কাটছেন। এমন বক্তব্যে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বন্দর চৌধুরীবাড়ি খালপাড় এলাকায় গেলে গাছগুলো কাটতে দেখা যায়। কয়েক দিন দরে প্রকাশে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ, বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদরত এ খোদা ও বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের নাম বিক্রি করে কয়েক দিন দরে সরকারি খালের পাশে থাকা দীর্র্ঘ বছরের পুরাতন ১৯টি করই গাছ বিক্রি করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল কবির ও বিপ্লবগং। কয়েক দিনে প্রায় ৮ থেকে ৯ গাছ কেটে ফেলেছে তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পদপ্রার্র্র্থী ফয়সাল কবির বলেন, চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবগত রয়েছেন। তাদের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে।
এব্যপারে বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদরত এ খোদা বলেন, সরকারি গাছ বিনা টেন্ডারে কাটার কারো অধিকার নেই। বন বিভাগের কর্মকর্তা আমাকে জানিয়ে ছিলো ঝরে একটি গাছ পড়ে গেছে তা সরাতে হবে। আমি তাকে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করতে বলেছি।
এব্যপারে বন্দর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: শাহজাহান মোল্লা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি জানি এবং সরজমিনে গিয়েছিলাম। আমাকে কাগজ পত্র দেখাইছে গাছ তাদের সম্পতির উপর তারা লাগাইছিলো তারা এখন কাটতেছে।
এব্যপারে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ বলেন, গাছ কি আমার আমি অনুমতি দিবো কাটার জন্য, সরকারি গাছ যারা কাটছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমার নলেজে নাই আমি এখনই লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।