শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন

প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় পঙ্গুত্ব বরণের পথে বৃদ্ধা জমিরুন নেছা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩, ৪.২৪ এএম
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জমিরুন নেছা নামে আশি বছর বয়সের এক রোগী বাম হাত-পা অবশ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণের পথে রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনরা।

এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ছেলে বাংলাদেশ আন্ত:জেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ সাইলো শাখার সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কবির হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।

কবির হোসেনের দাবি, জ্বর নিয়ে অসুস্থ হওয়া তার বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তার ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার শিকার হয়েছেন। সুচিকিৎসার অভাবে তার মায়ের বাম হাত ও পা অবশ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণের পথে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত (১৫ আগষ্ট) মঙ্গলবার রাতে আমার বৃদ্ধা মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাইনবোর্ডের প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তাররা মাকে হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে ভর্তি করায়।

এসময় ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ডেঙ্গু পজেটিভ হওয়ার কথা জানায় এবং তারা ট্রিটমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় আমিও ডাক্তারদের আমার মাকে সু চিকিৎসা দিতে বলি। কিন্তু তারা আমার মাকে ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা ও প্রতিষেধক না দিয়ে অনভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করেন। ফলে আমার মায়ের বাম হাত ও পা অবশ হয়ে যায়।

এ ঘটনায় আমি ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ভুল চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

পরে আমার মাকে মুমূর্ষ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অভিজ্ঞ ডাক্তারগন আমার মাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আমার মায়ের প্রথমে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় তার বাম হাত ও পা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।

এদিকে একাধিক সূত্র জানায়, প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার নামে একের পর এক ঘটছে অমানবিক কর্মকাণ্ড। গুরুতর বা স্পর্শকাতর রোগীদের জীবন-মরণ নিয়ে চলছে রীতিমতো বাণিজ্য।

এ ছাড়া রোগীর শারীরিক অবস্থার সুযোগ বুঝে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের ফন্দি এঁটে স্বজনদের সঙ্গে চালায় ছিনিমিনি খেলা। প্রায় সময়ই প্রসূতি কিংবা নবজাতক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই থাকে।

এবিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তনাধীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort