বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বক্তাবলী রাজাপুর ঘাটের ইজারা পেলেন শরীফ হোসেন মানিক রূপগঞ্জে ট্রাক চাপায় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী নিহত মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বিশেষ সভা কেউ হুংকার দিবে গডফাদার হয়ে যাবে, বিএনপি হতে দেবে না: মামুন মাহমদ বন্দরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফল ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ বন্দর উপজেলার বিভিন্ন কাজের শুভ উদ্বোধন করলেন- জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে : গিয়াসউদ্দিন হোয়াটসঅ্যাপে নতুন সুবিধা, স্ক্যান করা যাবে নথিপত্রও কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস ৭ গোলের থ্রিলার ম্যাচে আল হিলালের ইতিহাস, ম্যানসিটির বিদায়

‘জন্মের পর বাবাকে দেখিনি, হত্যাকারীদের বিচার দেখতে এসেছি’

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৪.৪৫ এএম
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন ব্যাপারী যখন মারা যান তখন তার স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার গর্ভে জন্ম নেওয়া রাতুল ব্যাপারী এখন ১৩ বছরের কিশোর। সেই কিশোর রাতুল বাবাকে না দেখলেও বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখতে এসেছে আদালতে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিটন ব্যাপারী হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তারিক এজাজ এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মজিবর মাদবর, আওলাদ মাদবর, সুজন মাদবর, মোকাদ্দেস মোল্লা, রবুল্লা মাদবর, আব্বাস মাদবর, জলিল খা, এস্কেন্দার মোল্লা, চাঁন মিয়া মাদবর, মকবুল মাদবর ও আল আমিন মাদবর। এছাড়া নুরুল আমিন খাকে তিন বছর এবং মনির মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জলিল খা, এস্কেন্দার মোল্লা, চাঁন মিয়া মাদবর, মকবুল মাদবর ও আল আমিন মাদবর এবং এক বছর সাজাপ্রাপ্ত মনির মোল্লা পলাতক আছেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ৯ মার্চ জাজিরা উপজেলার রাড়ীপাড়া এলাকার লিটন ব্যাপারীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন প্রতিপক্ষ জলিল খা ও তার লোকেরা। ঘটনার তিন পর লিটন ব্যাপারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই ঘটনায় লিটনের ভাই মতিউর রহমান জাজিরা থানায় ৩৩ জনকে আসামি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আরও দুইজনসহ মোট ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ৩৫ জনের মধ্যে ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়

কিশোর রাতুল ব্যাপারী বললো, জন্মের পর আমি বাবাকে দেখতে পাইনি। আজ আমি বাবার হত্যাকারীদের বিচার দেখতে এসেছি। হত্যাকারীদের প্রতি আমার ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই নেই। আদালতের কাছে আমার একটাই দাবি, হত্যাকারীদের সাজা যেন বহাল থাকে।

মামলার বাদী মতিউর রহমান বলেন, আমার ভাইকে আসামিরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে প্রাথমিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট। তবে একটাই দাবি, উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল থাকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মির্জা হযরত আলী বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আলোচিত লিটন ব্যাপারী হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছি। যদি আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যায়, তাহলে আমরা আদালতের মাধ্যমে তার জবাব দেবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort