নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও রূপগঞ্জ উপজলোর ১৬ ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিলো মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর)। এ দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর ফলে ৫ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী শুন্য হয়ে পড়ে।
ইউপিগুলো হলো- সদর উপজেলার বক্তাবলী ও কুতুবপুর, রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল, ভুলতা ও মুড়াপাড়া। এ সব ইউনিয়নে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
তারা হলেন- বক্তাবলী ও কুতুবপুরে এম শওকত আলী ও মনিরুল আলম সেন্টু, রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল, ভুলতা ও মুড়াপাড়ায় কামরুল হাসান ভূঁইয়া (তুহিন), আরিফুল হক ভূঁইয়া ও তোফায়েল আহমেদ আলমাছ। তারা সকলেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী।
এছাড়া ৪টি সাধারণ সদস্য ও ১১টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদেও একক প্রার্থী থাকায় ওই পদগুলোতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আপীলের পর ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬০ জন। শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
অন্যদিকে আপীলের পর সাধারণ সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬০২ জন। শেষদিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৫৫ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ১১ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৪ জন সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। এই দিন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর, গোগনগর, আলীরটেক, এনায়েতনগর; বন্দর উপজেলার বন্দর, কলাগাছিয়া, ধামগড়, মুছাপুড়, মদনপুর এবং রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ও ভোলাব ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৪৬ জন।
অন্যদিকে সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। আগামী ২৭ অক্টোবর তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।