আইন না থাকলেও সড়ক উন্নয়নকাজের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে থাকা গাছপালা ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া টাকা থেকে ১০ শতাংশ কেটে নিতে চেয়ে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল শরীয়তপুর জেলা সড়ক বিভাগ। এবার সেই শর্ত তুলে নিয়েছে সড়ক বিভাগ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের চেক বিতরণে কোনো বাধা থাকল না।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অপূর্ব কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত দুটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ এবং ৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখের উপস্থিত অবকাঠামো ও গাছপালার ওপর ১০ শতাংশ করে টাকা কেটে রাখার শর্তের চিঠি বাতিল করা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রাক্কলনের স্থাবর সম্পত্তি, উপরিস্থ অবকাঠামো ও গাছপালার দখল প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা কাটার যে বিষয়, সেটি মূলত জমির ওপর অবস্থিত যে অবকাঠামো তার ওপরে ছিল। মোট প্রাক্কলনে ছিল না। বিষয়টি নিয়ে জন-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, তাই জেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসকের চিঠিসাপেক্ষে ১০ শতাংশ কর্তনের চিঠিটি বাতিল করে সংশোধিত নতুন চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিটি আমরা পেয়েছি। চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ১০ শতাংশ কর্তনের বিষয়টি আর বহাল থাকবে না। মূল প্রাক্কলন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ভূমি এবং অবকাঠামোর মূল্য পাবে।’
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসমাউল হুসনা লিজা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১০ শতাংশ টাকা না কেটেই ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিতরণের কথা বলা হয়েছে। তাই আর কোনো সমস্যা রইল না বিষয়টি নিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা এলে তাদের চেক বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
সড়ক বিভাগ আইনবহির্ভূত শর্ত জুড়ে দেয়ায় থমকে ছিল শরীয়তপুর-নাওডোবা পদ্মা সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক ও শরীয়তপুর-ইব্রাহীমপুর সড়ক উন্নয়নকাজ। প্রকল্প দুটির মেয়াদ বাড়িয়েও শুরু করা যায়নি অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের চেক বিতরণের কাজ।