ফতুল্লার বোয়ালিখাল ভুইয়ারবাগে হোসিয়ারী শ্রমিক নয়ন শিকদার (১৭) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আরো তিন আসামী কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার ইসদাইর এলাকার মিন্টু মিয়ার পুত্র শিপন ওরফে লেংটা শিপন(২০), একই থানার ইসদাইর বাজার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের পুত্র মো. হানিফ মিয়া(২২) ও মনির হোসেনের পুত্র মো. আলিফ (১৯)।
সোমবার ভোর পাচটার দিকে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থনার জোড়াখালির আনোয়ারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদের কে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১’র সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাদের কে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
এর আগে পুলিশ নয়ন শিকদার হত্যা মামলার আরো এজাহারনামীয় আরো সাত আসামী কে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়ন শিকদার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই রাসেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী।র্যাব-১১ সদস্যরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার রাতে থানায় সোপর্দ করে।
এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো আল আমিন (২২), জয় (১৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৮), জুয়েল (১৮), ফরহাদ (১৮) শাওন (১৮) ও রাসেল (২০)।
উল্লখ্য যে, নিহত নয়ন স্থানীয় একটি হোসিয়ারীতে কাজ করতো। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নিহত নয়ন প্রয়োজনীয় কাজে বাসা থেকে বের হয়ে ভুইয়ারবাগস্থ বোয়ালিয়া খাল এলাকায় যায়।
সেখানে গিয়ে নিহত নয়ন তার পূর্ব পরিচিত ফরহাদ ও শাওন কে দেখতে পায়। তখন ফরহাদ ও শাওন কৌশলে নিহত নয়নকে বোয়ালিয়া খালস্থ আলমের বালু রাখার স্থানে নিয়া যায় এবং মার্বেল খেলার ছলে হত্যাকারীদের জন্য অপেক্ষা করিতে থাকে।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর রাত সাড়ে সাতটার দিকে শাকিলের নেতৃত্বে লেংটা শিপন,কাকা রাসেল,আল-আমিন,জয়, পায়েল, জুয়েল,ইয়াসিন আরাফাত,ফরহাদ,হানিফ, মমিন,মধু,সোহান সাগর সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন নয়ন কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
নয়ন আত্নরক্ষার্থে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হত্যাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা নয়ন কে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে নিহতের মা নাসিমা বেগম (৪৩) বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।