পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, হাওড়ের কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দেয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত হাওড় অঞ্চলের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। কারণ তিনি কৃষকের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান।
আজ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার নজরখালী বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের কৃষিতে হাওরের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, কৃষি উন্নয়নে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেয়া হয়েছে। কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সারে অন্যান্য বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হলেও এ বছর রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর কয়েক লাখ কৃষককে বিনামূল্যে ভালো মানের উন্নত জাতের বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণ দেয়া হচ্ছে। নড়িয়া উপজেলাসহ সারা বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি গবেষণা জোরদার করছে। ফলে ধান, গম, পাট, সবজি ও ফলের কয়েক শত উন্নত জাত উদ্ভাবন ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ হয়েছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, হাওড় অঞ্চল রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। আর নদীভাঙন ঠেকাতে সারা দেশে বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশী মহন সরকার, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ প্রমুখ।