পাবনায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর তার দেহ থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম হামিদা খাতুন (৩২)। তিনি ওই গ্রামের তেজেম মোল্লার স্ত্রী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত গৃহবধূ হামিদার স্বামী তেজেম মোল্লা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এজন্য স্বামী তেজেম মোল্লা তার স্ত্রী হামিদা খাতুনকে প্রায়ই মারধর করতেন। এরই জেরে মঙ্গলবার ভোরে হামিদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী।
নিহত হামিদার ভাই হামিদুল জানান, হত্যার পর তার এক হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। হত্যার পর তেজেম নিজেই মোবাইল ফোনে হামিদার স্বজনদের জানিয়ে পালিয়ে যান।
হামিদুল আরও জানান, তেজেম তার চাচাতো ভাই। তার বোনকে হামিদুলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পর বাবা তেজেমকে ঘরবাড়ি করে দিয়ে পুনর্বাসন করেন। কিন্তু এত কিছুর পরও সে এত নির্মমভাবে তার বোনকে হত্যা করতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেন না।
পাবনা সদর থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।