সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও ফতেহপুর ৪৫নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর দার্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শহিদ বাদশা বলেন,বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মান বাবদ চল্লিশ হাজার টাকা, অফিস রুমের চেয়ার টেবিল বাবদ পঁচিশ হাজার টাকা, দরজা, ফ্যান ল্যাপটপ ক্রয় বাবদ দুই লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান বরাদ্দ হয়। সেই টাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম খোকন, সভাপতি নাজমুল ও সহ-সভাপতি আশ্রাফ হোসেন দুলাল মিলে নাম মাত্র সামান্য কিছু টাকার কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে ফেলে। এমনকি রেজুলেশনে ছয়টি ফ্যান আর অফিস রুমের দুইটি দরজা লাগানোর কথা থাকলেও তারা পুরাতন ফ্যান আর দরজার ভাউচার দেখিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজমুল ও সহ-সভাপতি দুলাল নিজেকে আওয়ামিলীগের নেতা পরিচয়ে একের পর এক দূর্নীতি করে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের যে কোন উন্নয়নের বিষয়ে বাকী সদস্যদের কোন পাত্তা না দিয়ে জোড় পূর্বক রেজুলেশন খাতায় সই করিয়ে নেন। তাদের দূর্নীতির প্রতিবাদ করলেই তাদের হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখাতো বলে যানান। অভিভাবক সদস্য মোক্তার, সোনীয়া ও মিমের একই অভিযোগ। এমনকি সহকারী শিক্ষক মুজিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায় তাকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাজুল ইসলাম খোকন সভাপতির যোগসাজশে তাকে অপমান অপদস্ত করে ক্ষমতা কেঁড়ে নেয়। তাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অনেক অভিভাবক দূর্নীতিবাজ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম খোকনের দ্রুত অপসারণ চায়।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম খোকনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই লক্ষ টাকার মধ্যে ভ্যাট কেটে দেড় লক্ষ টাকা পাই। সেই টাকা দিয়ে প্রাক প্রাথমিক রুমেট টাইলস, দ্বোতলার জানালা ও বালি দিয়ে মাঠ ভড়াট করেছি। তিনি আরো জানান ৬টি ফ্যান আর অফিস রুমের দরজা করা হয়নি। সে বিষয়ে সভাপতি বলতে পারবেন বলে জানান। তবে সভাপতির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট জানত চাইলে তিনি বলেন, কমিটির মধ্যে থেকে এমন কোন অভিযোগ পাইনি। যদি এমন কেহ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।