জান্নাত জাহাঃ ,সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা পূর্বাপাশ থানা রোড যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। এ রোডটি সর্বদা যানজট লেগে থাকে। দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা মানুষের যাতায়াত অতুলনীয়। এ যানজটের কারণে সোনারগাঁবাসীর ভোগান্তির কোন শেষ নেই।সোনারগাঁ জরুরী কিছু সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান এরোডে দিয়ে যোগাযোগের কারণে এলাকাবাসীর যাতায়াত তুলনামূলক অনেক বেশি।
এ রোড দিয়ে যোগাযোগ করতে হয় সোনারগাঁ থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপজেলা ভূমি অফিস সহ আনন্দবাজার, বৈদ্যের বাজার নানা স্থানে ।জরুরী ভিত্তিতে এলাকাবাসী কোন রোগীর কে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিতে চাইলে এ রোড ব্যবহার করতে হয় অথবা সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে নিতে চাইলে পড়ে থাকতে হয় এ যানজটের ভিতরে, ফলে সময় মত হাসপাতলে পৌঁছাতে না পারায় মাঝ রোডে পড়তে হয় বিপদজনক আশঙ্কায়। কখনো আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে দীর্ঘ যানজটের কারণে মাঝপথে থেমে যায় অনেকের প্রাণ।এভাবেই ভোগান্তিতে সোনারগাঁয়ের এলাকাবাসী থানা রোড নামে এ ভয়ঙ্কর একটি যাতায়াতের মাধ্যমে।
এ রোডের থ্রি হুইলার চালকদের কাছ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে অবস্থিত কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন এরোড চলাচল অহরহ।এ রোডটি সরু হওয়ার কারণে থ্রি হুইলার পরিমাণে বেশি হওয়ায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে এরই উপর আবার কোম্পানির নিজস্ব ভারী যানবাহন।এছাড়াও যত্রতত্র পার্কিং , লোড আনলোডিং সহ নানা কারণে এরোডে সর্বদা দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসীর স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সময়মতো পৌঁছাতে না পারায়, অফিস ব্যবসা-বাণিজ্যে সময়মতো উপস্থিত না হওয়াতে প্রতিদিন এই রোড দিয়ে হাজার হাজার স্কুল কলেজ,ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কলেজ সহ ঢাকায় ক্লাস ও পরিক্ষা দিতে যায় এই রোড দিয়ে। কিন্তু জ্যামের কারনে তাদের যথাযথ সময়ে ক্লাস ও পরিক্ষায় অংশগ্রহনে ব্যর্থ।এই জ্যামের কারণ হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,এই রোডে জ্যাম লাগার প্রধান কারণ হলো কোম্পানির ভারী যানবাহন।এ রোডে অবস্থিত কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন চলাচল করে তার মধ্যে আমান কোম্পানি, বেঙ্গল, ফ্রেশ সহ আরো কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন। তারা বলেন, তিন চাকা চলাচলের রোড দিয়ে যখন এই সমস্ত বড় গাড়ীগুলো ঢুকে পড়ে তখনই সৃষ্টি হয় তীব্র যানযট।জ্যামের কারনে তাদের গাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়।অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন তুলে গাড়ী কেনায় সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারতেছে না।এতে করে এনজিও ও সাধারণ মানুষের সাথে বাকবিতন্ড দেখা দিচ্ছে।জ্যামের কারনে,১০ টাকার ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা দিয়েও যথাযথ সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছে না সাধারণ মানুষ।এরি কারণে সাধারণ জনগণসহ থ্রি হুইলার চালকদের দাবি, এই যানযট নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন সহ থানা প্রশাসনের ভূমিকা ও তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করতেছে।