বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ফেনীর দুই উপজেলায় প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম পুতিন অনেক মানুষ হত্যা করছেন : ট্রাম্প মেকআপ না করলে বেশি খুশি হই : সাদিয়া আয়মান ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯৯ রানে হারল বাংলাদেশ বিক্ষোভ দমনে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত জুলাই আনন্দের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে রুপগঞ্জ বিএনপি নেতা শরীফ আহমেদ টুটুলের মতবিনিময় বিগত তিন নির্বাচন বৈধ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না : সিইসি শরীয়তপুরের রুদ্রকর মঠ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে

সোনারগাঁয়ে গৃহবধুর লাশ নিয়ে ধুম্রজাল, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২, ৪.৩৭ এএম
  • ২২২ বার পড়া হয়েছে

জুনু আক্তার নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। পুলিশ বলছে, ‘শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ যানা যাবে।’

সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামে শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

নিহত জুনু আক্তার উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও একই উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের গজারিয়া পাড়া গ্রামের দাইয়ানের ছেলে কবির হোসেনের স্ত্রী।

জানা যায়, চার বছর আগে জুনু আক্তারের সঙ্গে কবির হোসেনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী কবির হোসেন বিভিন্ন সময়ে জুনু আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য মারধর করতেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে আবারও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুনুর স্বামী কবির হোসেন, শ্বশুর দাইয়ান ও শাশুড়ি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে বাড়ির সবাই রাতের আঁধারে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে তারা জুনু আত্মহত্যা করেছে বলে আশপাশের লোকজনের কাছে প্রচার করে।

গৃহবধূর বড় ভাই সোলায়মান মিয়া জানান, শনিবার ভোরে একটি অচেনা মোবাইল নাম্বার থেকে তার বোনের মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হয়। তার দাবি, যৌতুকের জন্য বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর করত। তিনি বোনের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

সোলায়মান মিয়া বলেন, আমার বোনের শরীরে গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort