দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো ঢের বাকি থাকলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ভোটের হাওয়া ছড়াচ্ছে নানাভাবেই।
এর মধ্যেই সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়নোগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করার আগ্রহের কথা জানালেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম।
জাতীয় নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক তথা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রস্তাবিত কমিটিতে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামিকে পদ দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন মাহফুজুর রহমান কালাম।
শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেল ৪ টায় সোনারগাঁ পৌরসভার নিজ বাড়ি চামেলী ভিলাতে ঈদুল আযহা পরবর্তী পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সাথে বর্তমান সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ৩৮ বছরের রাজনীতি ক্যারিয়ারে পা দেয়া মাহফুজুর রহমান কালাম।
সাংবাদিকদের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সংবাদ সম্মেলন ও পরিচিতি সভা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, আমার ৩৮ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির পরিচিতি সভা হতে দেখিনি। এটা সাংগঠনিক দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।
এই প্রস্তাবিত কমিটিতে মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা, হত্যা মামলার আসামী জায়গা পেয়েছেন তাই এই কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা কাজ করছে।
তার ভাষ্য, নতুন প্রস্তাবিত কমিটির অনেক সদস্যই বিতর্কিত। পদবঞ্চিত ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা, হত্যা মামলার আসামী জায়গা পেয়েছেন এবং অনেক কে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। এতে সংগঠনের সম্মানহানি হয়েছে।
সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনোক্ষুণ্ণ ও হতাশ হয়েছেন। এ ধরনের বিতর্কিত কেউ কোনোভাবেই সংগঠনের দায়িত্বশীল পদ-পদবিতে আসতে পারে না।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা কমিটিতে যদি কারো নামে বিতর্ক ওঠে এবং তা প্রমাণ হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যাচাই-বাছাই করে দেয়া হবে। কমিটির বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে।